মিঠুন সাহা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসায় অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষাথী পরিষদ, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ২’টার সময় মাদ্রাসার গেইটে সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
নিজেদের প্রাণের বিদ্যাপীঠের সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ বাতিলের এই মানববন্ধনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকুরীজীবিরা। মানববন্ধনে অংশ নেয়া সকলের দাবী আলিম শাখাকে গোপন করে দাখিলের অবৈধ সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগ যেন দ্রুত বাতিল করা হয়। না হয় সামনে আরো বড় কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
এতে বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষার্থী মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, মোফাজ্জল হোসেন, মো: সিরাজুল ইসলাম, মো: আমিনুল বশর, মো: ফজলুর রহমান, আসিফ করিম, মো: জালাল হোসেন।
বিভিন্ন মোবাইল কল রেকডিংয়ের সূত্র ধরে মাদ্রাসায় অবৈধ পন্থায় সুপারিনটেনডেন্ট নিয়োগের বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে ফুটে উঠে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মহা-পরিচালক প্রতিনিধি হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মুহাম্মদ ফরিদুদ্দিন জানান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়ি মাদ্রাসায়। কিন্তু সুপারিনটেনডেন্ট পদে আবেদনকারী দীঘিনালা উপজেলার রশিকনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মো: আনিছুর রহমান জানান, তিনি অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া সাবেক মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আবুল কাশেমের ভাড়া করা মাইক্রোতে চড়ে হাটহাজারী গিয়ে তিনি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তাঁর আবেদনের সাথে দেয়া ব্যাংক ড্রাফটিও আবুল কাশেম নিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে পানছড়ি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অরুপ চাকমা জানান, নিয়োগ পরীক্ষায় সরেজমিনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না তবে সম্মতি ছিল। যা বলার তিনি মোবাইলে বলে দিয়েছেন। কিন্তু ডিজি প্রতিনিধি বলেন শিক্ষা অফিসার নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন। এসব নানান নাটকীয়তায় অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি সবার নিকট পরিষ্কার হয়।
অতি দ্রুত এমপিও বন্ধ পূর্বক পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্টের অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ জাকির হোসাইনের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন সাবেক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল।