রিপন ওঝা, মহালছড়িঃ
আলোকসজ্জাহীন মহালছড়িতে ১ম বারের মতো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে। তবে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে মাঠ আলোয় আলোকিত করেছেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
১৯৫২ এর ভাষা শহীদ, ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের সদস্যসহ নিহত সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শহিদদের স্মরণে ১মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
আলোকসজ্জাহীন অন্ধকারের মধ্যে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের মুহুর্তে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভীন খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল ও সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জসিম উদ্দিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় সাংবাদিক, জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসনের চরম অব্যবস্থাপনায় আলোকসজ্জাহীন ১ম প্রহরে শহীদ মিনার ও উপজেলা পরিষদ ভবনে আলোকসজ্জা ছিলো না। অন্ধকার ভেদ করে মহালছড়ি থানা, উপেজলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা বিএনপিসহ আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জেএসএস (এমএন লারমা), ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), মহালছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাব, ফরেস্ট ডিপার্টমোন্ট, মারমা উন্নয়ন সংসদ, মুবাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, মহালছড়ি ১নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ, মহালছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, মহালছড়ি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন, ট্রাক ও মিনিট্রাক চালক সমবায় সমিতি, নানা সামাজিক সংগঠন মহালছড়ির শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
মহালছড়ি থানা হতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন’র নেতৃত্বে এসআই ও সৈনিকগণ বিশেষ বিশেষ বিভিন্ন টিমে বিভক্ত হয়ে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্যে যে, ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ প্রমুখ। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ৫ই আগষ্ট, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।