ছবি: সংগৃহিত
ধর্মীয় গাম্ভীর্যে সকল বৌদ্ধ বিহারে নানাধরনের আয়োজন
সিএইচটি বার্তা ডেস্কঃ
আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা। যথাযোগ্য মর্যাদায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ এই দিনে জন্ম গ্রহন করেন। ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’— এই অহিংসার বাণী প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিজ্ঞান লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালন কবেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
এই দিনে সরকারি ছুটি। দিনটি উদযাপনে বৌদ্ধরা বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা করেন। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয়। বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনে বাংলাদেশে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, অষ্ট পরিষ্কার দান, পঞ্চশীল ও অষ্টশীল গ্রহণ, দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক ধর্মীয় আলোচনা, সমবেত প্রার্থনা ও প্রদীপ পূজা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনুচ পৃথক বাণী দিয়েছেন।
‘সব্বে সত্তা সুখীতা ভবন্তু, জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ ছিল তার মর্মচেতনা। এই চেতনা জাগ্রত করতে সত্যের সন্ধানে পরিভ্রমণ করতে করতে একসময় তিনি গয়ার উরুবেলায় (বুদ্ধগয়া) গিয়ে নিবিষ্টচিত্তে সাধনামগ্ন হন। দীর্ঘ ছয় বছর অবিরাম সাধনায় তিনি লাভ করেন সম্যক সম্বুদ্ধ বা বুদ্ধত্ব।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বে এ দিনে তিনি বোধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর অপর নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’।
মন্তব্য করুন