ছবিঃ প্রতীকি
এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, চট্টগ্রামঃ
নারী মানে আশ্রয়, নারী মানে মমতাময়ী, নারী মানে সৌন্দর্য, নারী মানে রহস্যময়তা, নারী মানে দৃঢ়তা,
নারী হতেই আসে আগামীর বার্তা। নারী সমাজের অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের অবদান, কর্মদক্ষতা ও আত্মত্যাগ আমাদের সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই বিশেষ মুহূর্তে, আমরা সকল নারীকে জানাই শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সম্মান।
নারী দিবস মানেই আলাদা একটা দিন, বছরের প্রতিটা দিনই নারী দিবস। তাঁরা আছেন বলেই সকলে আছেন! তাঁরা স্বয়ংসিদ্ধা। শুধু নিজের সংসারের নয়, বিশ্বসংসারের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। তাই পৃথিবীজুড়ে সব নারীদের কুর্নিশ জানাতে "৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস"
ক্লারার প্রস্তাবিত নারী দিবসের কোনও নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। ১৯১৪ সালে ইউরোপের মহিলারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে র্যালী এবং ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেন। ১৯১৭-তে রাশিয়ান মহিলারা একটি স্ট্রাইক করেন, ব্রেড অ্যান্ড পিস’। যুদ্ধে নিহত প্রায় ২ কোটি, যোদ্ধার মৃত্যুর প্রতিবাদে,
চার দিনের এই স্ট্রাইকের ফলে -সরকার তাঁদের ভোট দেওয়ার অধিকার দেয়। যে দিন মহিলারা এই আন্দোলন শুরু করেন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে, যা তখন রাশিয়ায় ব্যবহৃত হত, তাতে তারিখ ছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি। জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারে সেটাই ৮ মার্চ হিসেবে গণ্য হয়। এই ঘটনার পর থেকে জর্জিয়ান ক্যালেন্ডারের ওই ৮ মার্চ দিনটিই "আন্তর্জাতিক নারী দিবস" হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
তুমি চঞ্চল, তুমি সুন্দর
তুমি নির্মল তুমি জননী
এই বিশ্বের তুমি স্বর্গভূমি
তুমি নারী।
দুটি অক্ষরের মিলন নারী।কিন্তু এই নারী শব্দ দুটোতে আছেন মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা, শাশুড়ি, ননদ, জা।
নারী যখন মা তখন একাধারে তিনি ডাক্তার, শিক্ষিকা, বেস্ট শেফ , ডিজাইনার, নার্স, বিউটিশিয়ান। একজন নারীর একেক সময় একেক ভূমিকায় কাজ করে যেতে হয়।
সকল নারীকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : নিউটন চাকমা
সিএইচটি বার্তা