Dhaka , বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘‘আদিবাসী’’ শব্দ অপসারণের প্রতিবাদে আয়োজিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ ঘেরাও কর্মসুচীতে সুপরিকল্পিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার

print news

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

 

সিএইচটি বার্তা ডেস্কঃ

 

আজ ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘‘আদিবাসী’’ শব্দ অপসারণের প্রতিবাদে আয়োজিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ ঘেরাও কর্মসুচীর উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্বর্য থেকে এনসিটিবি যাওয়ার সময় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর ‘স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি’ নামক ভুঁইফোড় সন্ত্রাসী সংগঠনের দুস্কৃতকারীদের দ্বারা পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

‘স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি’ নামক ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে সংঘটিত এই হামলার মিছিরে অংশগ্রহণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা ও অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা সহ অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। উক্ত হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা কেবল শান্তিপুর্ণ প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করেনি, বরং এটি আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি করে সাংবিধানিক অধিকার এবং মানবিধকারের ওপর একটি জঘন্য আঘাত।

বব

বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা (বাতকস) এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যেমন শান্তিপুর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে তেমনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের ও তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি এবং তাদের বিরুদ্ধে ঘটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা এটি প্রমান করে যে, আদিবাসীদের কন্ঠ রোধ স্তদ্ধ করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কার্যকর করা হচ্ছে।

 

আমরা অর্ন্তবর্তীকালীণ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নলিখিত দাবি জানাই —

গগগগ

 

১. হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি পদান করতে হবে।

২. শান্তিপুর্ণ আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ অপসারণের সিদ্ধান্ত পুর্নবিচেনা করতে হবে এবং আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি অর্ন্তভুক্তিমুলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৪. ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

আমরা আশা করি অর্ন্তবর্তীকালীণ সরকার এবং দেশের বিচার বিভাগ এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং হামলার জড়িতদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করবে। অন্যথায় আদিবাসী সম্প্রদায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

 

বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা (বাতবস) কর্তৃক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

‘‘আদিবাসী’’ শব্দ অপসারণের প্রতিবাদে আয়োজিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ ঘেরাও কর্মসুচীতে সুপরিকল্পিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার

‘‘আদিবাসী’’ শব্দ অপসারণের প্রতিবাদে আয়োজিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ ঘেরাও কর্মসুচীতে সুপরিকল্পিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবি বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার

প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে
print news

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

 

সিএইচটি বার্তা ডেস্কঃ

 

আজ ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ইং তারিখে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘‘আদিবাসী’’ শব্দ অপসারণের প্রতিবাদে আয়োজিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের শান্তিপুর্ণ ঘেরাও কর্মসুচীর উদ্দেশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্বর্য থেকে এনসিটিবি যাওয়ার সময় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর ‘স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি’ নামক ভুঁইফোড় সন্ত্রাসী সংগঠনের দুস্কৃতকারীদের দ্বারা পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

‘স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি’ নামক ভুঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে সংঘটিত এই হামলার মিছিরে অংশগ্রহণ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা ও অনন্ত তঞ্চঙ্গ্যা সহ অনেক আদিবাসী শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। উক্ত হামলার মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা কেবল শান্তিপুর্ণ প্রতিবাদের কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা করেনি, বরং এটি আদিবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি করে সাংবিধানিক অধিকার এবং মানবিধকারের ওপর একটি জঘন্য আঘাত।

বব

বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা (বাতকস) এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যেমন শান্তিপুর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে তেমনি আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের ও তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি এবং তাদের বিরুদ্ধে ঘটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু আজকের ঘটনা এটি প্রমান করে যে, আদিবাসীদের কন্ঠ রোধ স্তদ্ধ করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কার্যকর করা হচ্ছে।

 

আমরা অর্ন্তবর্তীকালীণ সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিম্নলিখিত দাবি জানাই —

গগগগ

 

১. হামলার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি পদান করতে হবে।

২. শান্তিপুর্ণ আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দ অপসারণের সিদ্ধান্ত পুর্নবিচেনা করতে হবে এবং আদিবাসী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি অর্ন্তভুক্তিমুলক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৪. ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

আমরা আশা করি অর্ন্তবর্তীকালীণ সরকার এবং দেশের বিচার বিভাগ এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং হামলার জড়িতদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করবে। অন্যথায় আদিবাসী সম্প্রদায় বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

 

বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা (বাতবস) কর্তৃক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।