ঢাকায় অবস্থানরত বৌদ্ধ জাতিদের উদ্যোগে অবিস্ণরনীয় পিন্ডচারণ অনুষ্টান
নিউটন চাকমাঃ
যারা ইহকালে তৃষ্ণা মুক্ত হবেন, মার্গফল লাভ হবে এবং পরকালের সুখের জন্য ইহকালে পূর্ণ্য সঞ্চয় করবেন তারাই আর্য্যমিত্র বুদ্ধ সমকালীন যে কেউ বা অনন্তগুনের অধিকারী হবেন কেবল তারাই ঐ বুদ্ধের সময়ে নির্বাণের সুগতি লাভ করবেন বলে ঢাকা ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারে ঢাকায় অবস্থানরত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্যোগে পিন্ডচারণ অনুষ্টানে আয়োজিত ধর্ম দেশনাকালে রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথেরো তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ইহকালে পুর্ণ্যরাশির প্রভাবে আয়ু, বর্ণ, সুখ ও বল লাভ সহ সমস্ত দানের হেতু উৎপন্ন হয়। পু্র্ণ্যর দ্বারাই সকল ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায়। সেজন্য সকল বৌদ্ধ নর-নারীকে ধর্মপ্রাণ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ঢাকায় অবস্থানরত সকল বৌদ্ধ সমাজের উদ্যোগে রাঙামাটি রাজবন বিহারের দুই শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে অবিস্ণরনীয় পিন্ডচারণ অনুষ্টান আয়োজন করা হয়েছে। পিন্ডচারণ অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের মহাধ্যক্ষ ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো, বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশিষ রায়, মং সার্কেল চীফ সাচিং প্রু চৌধূরী, ডাঃ দেবাশিষ বড়ুয়া, সাবেক মেজর তপন বিকাশ চাকমা, রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান প্রমূখ।
ঢাকায় বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্যোগে রাঙামাটি রাজবন বিহারের মহাপরিনির্বাণ প্রাপ্ত সুযোগ্য শিষ্য ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথেরো সহ তার স্বশিষ্য মন্ডলী ২০০ শতের অধিক ভিক্ষুসংঘের পিন্ডচারণ অনুষ্টানে সকাল ৭টায় পিন্ডদান করা হয়। সকাল ৯টায় ধর্মীয় সংগীত, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, নানাবিধ দানীয় সামগ্রী আয়োজন করা হয়। দানযজ্ঞ শেষে সমবেত পূর্ণ্যার্থীদের উদ্দেশ্য মৈত্রীময় সুত্তং ও স্বধর্ম দেশনা প্রদান করেন। এসময় ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রদান ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথেরো, ভদন্ত ইন্দ্রগুপ্ত মহাথেরো ও প্রজ্ঞাদর্শী স্থবির।
পিন্ডচারণ অনুষ্ঠান শেষে রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ভদন্ত প্রজ্ঞালংকার মহাথেরো কাছে দুই শতাধিক অষ্টপরিস্কার দানের সামগ্রী দান করেন সমবেত পূর্ণ্যার্থীবৃন্দ।