হ্লাসিং থোয়াই মারমা; বান্দরবান প্রতিনিধি:
প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত বান্দরবানে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। এবার ঈদের টানা ছুটি থাকায় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো। সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা দেখতে আসছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো পর্যটক। শহরে কোলাহল থেকে দূরে থাকতে প্রকৃতির প্রেমে ছুটে আসছে পাহাড়ে।
প্রতিবারের মত এবারে ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে জেলা শহরের পর্যটনকেন্দ্র মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক,নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের ভীড়ে মুখরিত হয়ে ওঠেছে। পর্যটকরা ছুটে বেড়াচ্ছেন এক পর্যটন কেন্দ্র থেকে আরেক পর্যটন কেন্দ্রে। আর পাহাড়ের নয়নাভিরাম বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক আবদুল ফাহিম জানান,প্রতিবারের মত এবারে বান্দরবানে বেড়াতে আসলাম। আমি প্রতিবছরই বান্দরবান আসি আর ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে আসলাম।আমার বান্দরবান বেশ ভালো লাগে,আর আশা করি আগামীতে ও ঈদের বন্ধগুলো পার্বত্য জেলা বান্দরবানে কাটাবো।
নীলাচল পর্যটনকেন্দ্র ঘুরতে যাওয়া পর্যটক মো.শাকিল জানান, পাহাড় প্রকৃতি আর মেঘের অপরূপ জেলা বান্দরবান। বান্দরবান খুবই সুন্দর জেলা আর ছুটি পেলেই আমি পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ঘুরতে চলে আসি।
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদুল ফিতরের বন্ধে বান্দরবানে পর্যটকের আগমন বেড়েছে এবং বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল এখন পর্যটকে পরিপূর্ণ। আমরা প্রতিনিয়ত অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যদের নিদের্শনা দিয়ে যাচ্ছি, যাতে পর্যটকরা পর্যাপ্ত সেবা পায়।
জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, বান্দরবান দেশের অন্যতম একটি পর্যটন জেলা। আর এই জেলাতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা যাতে নিরাপত্তার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণ করতে পারে সেজন্য প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে। নিয়মিত নিরাপত্তার জন্য কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
মন্তব্য করুন