রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ
ঐতিহ্যকে মেলে ধরতে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকায় প্রাণের উচ্ছ্বাসে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল কতৃপক্ষের আয়োজনে খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল অডিটোরিয়াম কক্ষে এই প্রাণের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ প্রবির খিয়াং এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপষ্ঠিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপষ্ঠিত ছিলেন, ডাঃ রেভারেন্ড দিলিপ সরকার, আহবায়ক ডাঃ শোঁয়াইগি মারমা ও বিজয় মারমা।
অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রাণবন্ত অনুষ্ঠানে রুপ নেয় পিঠা উৎসব বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। হরেক রকমের পিঠা অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
খ্রীষ্টিয়ান হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ প্রবির খিয়াং বলেন, গ্রামবাংলার মানুষের ঐতিহ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা রকম পিঠা। যান্ত্রিক জীবনে নতুন প্রজন্ম জানে না অনেক পিঠার নাম। গ্রাম-বাংলার বিলুপ্ত প্রায় লোকজ খাবার ধরে রাখা ও নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এমন উৎসবের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে আহবায়ক বিজয় মারমা বলেন, তরুণ তরুণী গানের তালে তালে নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতেছিল। পিঠা নিয়ে স্টল বসেছিল ১২ টি। বিভিন্ন স্টলে যেসব পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, তারা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, কলা পিঠা, মালপোয়া, দুধ চিতই পিঠা, পুলি পিঠা (ভাপা) সহ আরও হরেক রকমের পিঠা।
উৎসব শেষে ১২ টি স্টলের মাঝে কত প্রকার পিঠা, পিঠার স্বাদ কেমন, স্টলের সাজসজ্জা ও উপস্থাপন ক্যাটাগরির মাঝে বিচার কার্য শেষে ইষ্টিকুটুম’কে প্রথম রঙ্গিলা’কে দ্বিতীয় ও বসন্তের স্বাদ’কে তৃতীয় নির্বাচিত করা হয়। এবং সকল স্টলকে অংশগ্রহণ করায় শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।
পিঠা উৎসবে বিকেল সাড়ে ৩ টায় শুরু হয়ে মেলা চলে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন