সিএইচটি বার্তা ডেস্কঃ
রাঙামাটির কাউখালী উপজেলাধীন ৩নং ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সশস্ত্র সন্ত্রাসীর একটি গোপন আস্থানায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ এর শীর্ষ নেতাকর্মীরা বসবাসকারীর আস্তানা সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাউখালী সেনাবাহিনী। শুক্রবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনায় গেলে সেনাবাহিনীর অভিযানের কথা টের পেয়ে ইউপিডিএফ কর্মীরা আস্তানা থেকে পালিয়ে যায় বলে শুক্রবার বিকালে রাঙামাটিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের বিষয়ে মেজর তাজবীদ বিন নজরুল ও (সদর সার্কেল) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল ইসলাম জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি সদর জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মুহাম্মদ জুনাঈদ উদ্দীনসহ সেনাবহিনী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মেজর বলেন, ইউপিডিএফ পাহাড়ে অশান্তির মুল কারন। পার্বত্য অঞ্চলের পরিবেশকে অস্থিতিশীল রাখতে এবং এ অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা চাঁদাবাজি করে আসছে। সাম্প্রতিককালে চাঁদার দাবি করে টাকা না পেয়ে দীঘিনালা ও নানিয়াচর উপজেলায় মোবাইলের টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে। ইউপিডিএফের জন্য মায়ানমারের দেশ থেকে নিয়ে আসা গোলাবারুদ সহ কয়েকজনকর্মী সহ ধরা পড়েছে। এর পাশাপাশি এলাকায় চাঁদাবাজি করে পাহাড়ি বাঙালি সহ সাধারণ মানুষকে জিইয়ে রেখেছে।
প্রেস ব্রিফিং এ রাঙামাটি সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কাউখালী উপজেলাধীন সেক্ষেত্রে আইনগত ভাবে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করা হবে। তবে পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের কার্যক্রমের উপ নজরদারি রেখে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিং এ জানান, ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযান চলাকালীন সেনাসদস্যরা এলাকাটি ঘিরে তল্লাশি চালিয়ে গোলাবারুদ, ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, বাইনোকুলার, ব্যবহৃত ওয়াকি-টকি, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও চাঁদা আদায়ের রশিদসহ নথিপত্রের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীর কার্যক্রম সেনাবাহিনী সহ যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সেনা সুত্রটি জানায়। পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীর মুল শিকড় দমনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর কঠোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, ইউপিডিএফ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রয়োগ করার অপচেষ্টা সহ ঘটনা আড়াল করতে কর্মী সমর্থকদের মাধ্যমে কাউখালীতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির নানাভাবে পায়তারা করছে। তবে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর উপর চড়াও হয়ে উঠেন বলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াই ভিডিও চিত্রে উঠে এসেছে। এমনকি স্থানীয় এলাকাবাসীর নারী-পুরুষরা যৌথবাহিনীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করার সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও ফুটেজে শুনা গেছে। বর্তমান ঐ এলাকাতে সাধারন জনগণের মধ্যে আতংকের বিরাজ করছে।
অপরদিকে, হিল উইমেন্স ফেডারেশন কাউখালি উপজেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মামুনি মারমা এক বিবৃতিতে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ছবিঃ সংগৃহিত
সম্পাদক ও প্রকাশক : নিউটন চাকমা
সিএইচটি বার্তা