রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ
বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটি কাপ্তাইয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী উপজেলা ছাত্রদল ও কর্ণফুলী সরকারি কলেজ শাখার উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড আনন্দ মিছিল এসে একত্রিত হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদে মিলনায়তনে সামনে গিয়ে শেষ হয়।
কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সেকেন্দার আলী রাসেল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোঃ ইব্রাহিম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ডা: রহমত উল্লাহ। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন, উক্ত আলোচনা সভায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি এমদাদুল হক নয়ন, মোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম, রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর সুমন, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ স্বপন, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মামুন, কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিসুর রহমান, মোঃ ইব্রাহিম খলিল, আবুল বাশার সেলিম, শামসুদ্দিন চৌধুরী রকি, মোঃ হারুন অর রশিদ, এটিএম তারেক হোসেন, জাবেদ নূর, জাহেদুল হক, মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান কাপ্তাই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইব্রাহিম হাবিব মিলু, রাকিব হোসেন মহিন, ইকবাল হোসেন, প্রিয়তোষ, নুর আহমেদ বাবু, মোঃ বেলাল হোসেন, কর্ণফুলী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন (অপু), সদস্য সচিব রিয়াজউদ্দিন আকাশ সহ কাপ্তাই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় সংসদ ও রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফারুক আহমেদ সাব্বির।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে শিক্ষা, ঐক্য ও প্রগতি-এই তিন মূলনীতিকে ধারণ করে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। উৎপাদনমুখী শিক্ষাব্যবস্থা ও ছাত্র-সমাজের অধিকার আদায়ের লক্ষ্য সামনে রেখে ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি এই সংগঠন গঠন করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরবর্তী সময়ে বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের ভ্যানগার্ড হিসাবে পরিচিতি পায় ছাত্রদল। সূচনালগ্ন থেকে সংগঠনটি স্বৈরাচার পতন আন্দোলন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সুনাম অর্জন ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার প্রমাণ পেয়েছ। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আমরা কোনো কর্মসূচি পুলিশ ও ছাত্রলীগের মামলা-হামলা ছাড়া করতে পারিনি। ফলে দীর্ঘ সময় পর বাধাহীন ও স্বাধীনভাবে এই কমসূচি পালিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা ভয়হীনভাবে উপস্থিতি হয়েছে।এটাই বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রকৃত রূপ। তাই আগামীতে দেশের যে কোনো প্রয়োজনে যেমন অগ্রগামী থাকবে ছাত্রদল তেমনি সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হয়ে রাজপথেও থাকবে নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।