Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাপ্তাইয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অবশেষে আপন নীড়ে ফিরল অসহায় সেই বৃদ্ধ

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে
print news

 

 

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

 

অবশেষে আপন নীড়ে ফিরলো অসহায় সেই বৃদ্ধ লোকটি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় বৃদ্ধ লোকটির সহধর্মিণী ফরিদা বেগম এবং তাঁর মেয়ের জামাই মো: শাহাদাত এসে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুইহ্লা অং মারমার কাজ হতে লোকটিকে বুঝিয়ে নেন।

 

এসময় কর্ণফুলী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো আরাফাত হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং স্থানীয় যুবক সুমন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ওমর ফারুক রনি জানান বিগত এক সপ্তাহ আগে কে বা কাহারা একজন রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ লোককে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রেখে চলে যান। লোকটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরুষ বেডে ভর্তি করার পর তিনি হাসপাতাল বেডে পায়খানা প্রশ্রাব করে দূর্গন্ধ ছড়ান। যার ফলে পুরুষ বেডে অন্যান্য রোগীরা বেড ত্যাগ করেন।

 

এদিকে এই খবর জানার পরের দিন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন লোকটিকে পুরুষ বেড হতে নিয়ে এসে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা প্রহরীর রুমে জায়গা করে দেন। বিগত এক সপ্তাহ ধরে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী মোছাম্মদ হামিদা বেগম তাঁর সেবা শুশ্রূষা করেন। এছাড়া গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, সাধারণ শিক্ষার্থী,  এলাকার যুবসমাজ, এলাকার সাধারণ মানুষ, সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সকলের সহায়তায় একটা ছোট ফান্ড কালেক্ট করে লোকটির দৈনন্দিন খাবার সহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করছিলেন।

 

মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় এই প্রতিবেদক এর সাথে যোগাযোগ হয় অসহায় বৃদ্ধ লোকটার সহধর্মিণী  ফরিদা বেগম এর সাথে। তিনি জানান, তাঁর স্বামীর নাম মহরম আলী। তাদের বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া কচুখাইন এলাকায়। তাঁর স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে প্যারালাইসিস সহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত ২২ নভেম্বর তাঁর স্বামী মাজারে যাবে বলে ঘর হতে বের হয়ে আর ফিরে নাই।

 

সাংবাদিক ঝুলন দত্তের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ প্রচার করার পরে তাঁরা নিশ্চিত হন তাঁর স্বামী কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন। এসময় ফরিদা বেগম এই কয়দিন তাঁর স্বামীর যাঁরা সেবা শুশ্রূষা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 

প্রসঙ্গত: কে এই অসহায় বৃদ্ধ: কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানবতার জীবন যাপন করছেন শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট্র ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন জন অসহায় এই বৃদ্ধ লোকটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিও সহ পোস্ট করেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

কাপ্তাইয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অবশেষে আপন নীড়ে ফিরল অসহায় সেই বৃদ্ধ

প্রকাশিত: ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
print news

 

 

রিপন মারমা, কাপ্তাইঃ

 

অবশেষে আপন নীড়ে ফিরলো অসহায় সেই বৃদ্ধ লোকটি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় বৃদ্ধ লোকটির সহধর্মিণী ফরিদা বেগম এবং তাঁর মেয়ের জামাই মো: শাহাদাত এসে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রুইহ্লা অং মারমার কাজ হতে লোকটিকে বুঝিয়ে নেন।

 

এসময় কর্ণফুলী সরকারি কলেজের প্রভাষক মো আরাফাত হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং স্থানীয় যুবক সুমন রায়হান উপস্থিত ছিলেন। কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: ওমর ফারুক রনি জানান বিগত এক সপ্তাহ আগে কে বা কাহারা একজন রোগাক্রান্ত বৃদ্ধ লোককে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে রেখে চলে যান। লোকটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরুষ বেডে ভর্তি করার পর তিনি হাসপাতাল বেডে পায়খানা প্রশ্রাব করে দূর্গন্ধ ছড়ান। যার ফলে পুরুষ বেডে অন্যান্য রোগীরা বেড ত্যাগ করেন।

 

এদিকে এই খবর জানার পরের দিন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন লোকটিকে পুরুষ বেড হতে নিয়ে এসে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা প্রহরীর রুমে জায়গা করে দেন। বিগত এক সপ্তাহ ধরে তিনি এবং তাঁর সহধর্মিণী মোছাম্মদ হামিদা বেগম তাঁর সেবা শুশ্রূষা করেন। এছাড়া গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ, সাধারণ শিক্ষার্থী,  এলাকার যুবসমাজ, এলাকার সাধারণ মানুষ, সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ সকলের সহায়তায় একটা ছোট ফান্ড কালেক্ট করে লোকটির দৈনন্দিন খাবার সহ অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করছিলেন।

 

মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় এই প্রতিবেদক এর সাথে যোগাযোগ হয় অসহায় বৃদ্ধ লোকটার সহধর্মিণী  ফরিদা বেগম এর সাথে। তিনি জানান, তাঁর স্বামীর নাম মহরম আলী। তাদের বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া কচুখাইন এলাকায়। তাঁর স্বামী দীর্ঘ দিন ধরে প্যারালাইসিস সহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। গত ২২ নভেম্বর তাঁর স্বামী মাজারে যাবে বলে ঘর হতে বের হয়ে আর ফিরে নাই।

 

সাংবাদিক ঝুলন দত্তের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজ প্রচার করার পরে তাঁরা নিশ্চিত হন তাঁর স্বামী কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন। এসময় ফরিদা বেগম এই কয়দিন তাঁর স্বামীর যাঁরা সেবা শুশ্রূষা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

 

প্রসঙ্গত: কে এই অসহায় বৃদ্ধ: কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানবতার জীবন যাপন করছেন শিরোনামে বিভিন্ন প্রিন্ট্র ও অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন জন অসহায় এই বৃদ্ধ লোকটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি এবং ভিডিও সহ পোস্ট করেন।