Dhaka , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৩ নারীকে কারাগারে প্রেরণ।

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের দায়ে তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে থাকা চার শিশু মায়ের সাথে রয়েছে।

সোমবার (২২এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টায় গ্রেপ্তারকৃত তিন নারীকে আদালতে তোলা হয়। বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নরুল হক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, সুশান্ত ত্রিপুরা স্ত্রী লাল রুয়াত ফেল বম (২০), লাল তোয়ান লিয়ান বমের মেয়ে লাল নুন পুই বম (১৯), লাল চয় সাং বমের স্ত্রী লাল এং কল বম (২৬)। তারা সবাই রুমা ইউপির গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা।

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত আসামী লাল রুয়াত ফেল বমের সাথে ৩ বছর বয়সী ইউনিক ত্রিপুরা নামে এক কন্যা সন্তান, লাল এং কল বমের সাথে দেড় মাস বয়সী স্টিফেন বম (দুগ্ধপোষ্য), ৪ বছর বয়সী লাল থার সাং বম নামে দুই ছেলে সন্তান ও ৩ বছর বয়সী লাল ফেলিনা বম নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে রুমার গীর্জা পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে রুমা থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে বান্দরবান সদর থানায় আনা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে তিন নারীকে রুমা অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত ২১জন নারীসহ ৬৯ জনকে রুমা ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অপহরণের দুইদিন পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার করে র‍্যাব। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।

Tag :
জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৩ নারীকে কারাগারে প্রেরণ।

প্রকাশিত: ০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহের দায়ে তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের সাথে থাকা চার শিশু মায়ের সাথে রয়েছে।

সোমবার (২২এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টায় গ্রেপ্তারকৃত তিন নারীকে আদালতে তোলা হয়। বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. নরুল হক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, সুশান্ত ত্রিপুরা স্ত্রী লাল রুয়াত ফেল বম (২০), লাল তোয়ান লিয়ান বমের মেয়ে লাল নুন পুই বম (১৯), লাল চয় সাং বমের স্ত্রী লাল এং কল বম (২৬)। তারা সবাই রুমা ইউপির গীর্জাপাড়ার বাসিন্দা।

কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত আসামী লাল রুয়াত ফেল বমের সাথে ৩ বছর বয়সী ইউনিক ত্রিপুরা নামে এক কন্যা সন্তান, লাল এং কল বমের সাথে দেড় মাস বয়সী স্টিফেন বম (দুগ্ধপোষ্য), ৪ বছর বয়সী লাল থার সাং বম নামে দুই ছেলে সন্তান ও ৩ বছর বয়সী লাল ফেলিনা বম নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে রুমার গীর্জা পাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। পরে রুমা থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে বান্দরবান সদর থানায় আনা হয়। আজ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কেএনএফ সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে তিন নারীকে রুমা অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত ২১জন নারীসহ ৬৯ জনকে রুমা ও থানচি ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অপহরণের দুইদিন পরে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার করে র‍্যাব। সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।