Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাগড়াছড়িতে রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের বিশ্ব বই দিবস পালন

print news

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ

 

খাগড়াছড়ির পেরাছড়া ইউনিয়নের পল্টন জয় পাড়ায় রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে Read Your Way অর্থাৎ পড়ুন আপনার মতো করে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ব বই দিবস পালন করা হয়েছে।

 

আলোচনা ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নীলাংকুর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের ফাউন্ডার ইমন ত্রিপুরা।

 

এসময় এনসিটিএফ’র পেরাছড়া কমিটির সদস্য শিশু রানী ত্রিপুরার সঞ্চালনায় দিবসের প্রতিপাদ্য সর্ম্পকে তথ্য উপস্থাপন করেন সুইটি ত্রিপুরা।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইমন ত্রিপুরা বলেন, শিক্ষার্থী ও পাঠকদের বই পড়ার সুযোগটি হাতের নাগালে রাখতে প্রতিটি গ্রামে লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে বই পড়ার ব্যাপারটি গুরুত্বের বাইরে রয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে বইমূখী হলে আত্মবিশ্বাসী ও সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে সমাজে বা দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানিক বইয়ের বাইরে বাহ্যিক বই পড়ার ব্যাপারে উদাসীন হওয়ার মূল কারন হলো গ্রামের মধ্যে বা পারিবারীক ভাবে লাইব্রেরী না থাকা।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির মানসিক বিকাশ ও জ্ঞান সমৃদ্ধিতে বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি গ্রামে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, বিশ্ব বই দিবসের ধারনাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসেভ কাছ থেকে। ১৬১৬ সালে ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরনীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেস স্পেনে প্রথম পালন করা শুরু করেন বই দিবস। এরপর ১৯৯৫ সালে UNESCO দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষন করা ইত্যাদি।

 

সভায় গ্রামের বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

 

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

খাগড়াছড়িতে রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের বিশ্ব বই দিবস পালন

প্রকাশিত: ০২:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
print news

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ

 

খাগড়াছড়ির পেরাছড়া ইউনিয়নের পল্টন জয় পাড়ায় রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে Read Your Way অর্থাৎ পড়ুন আপনার মতো করে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ব বই দিবস পালন করা হয়েছে।

 

আলোচনা ৪নং পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নীলাংকুর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের ফাউন্ডার ইমন ত্রিপুরা।

 

এসময় এনসিটিএফ’র পেরাছড়া কমিটির সদস্য শিশু রানী ত্রিপুরার সঞ্চালনায় দিবসের প্রতিপাদ্য সর্ম্পকে তথ্য উপস্থাপন করেন সুইটি ত্রিপুরা।

 

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ইমন ত্রিপুরা বলেন, শিক্ষার্থী ও পাঠকদের বই পড়ার সুযোগটি হাতের নাগালে রাখতে প্রতিটি গ্রামে লাইব্রেরীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বর্তমান সময়ে তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে বই পড়ার ব্যাপারটি গুরুত্বের বাইরে রয়ে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে বইমূখী হলে আত্মবিশ্বাসী ও সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবে সমাজে বা দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব। বর্তমান সময়ে প্রতিষ্ঠানিক বইয়ের বাইরে বাহ্যিক বই পড়ার ব্যাপারে উদাসীন হওয়ার মূল কারন হলো গ্রামের মধ্যে বা পারিবারীক ভাবে লাইব্রেরী না থাকা।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির মানসিক বিকাশ ও জ্ঞান সমৃদ্ধিতে বই পড়া ও সাহিত্যচর্চার কোন বিকল্প নেই। প্রতিটি গ্রামে লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, বিশ্ব বই দিবসের ধারনাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসেভ কাছ থেকে। ১৬১৬ সালে ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের আরেক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরনীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেস স্পেনে প্রথম পালন করা শুরু করেন বই দিবস। এরপর ১৯৯৫ সালে UNESCO দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং পালন করতে শুরু করে। তখন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে। বিশ্ব বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষন করা ইত্যাদি।

 

সভায় গ্রামের বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।