মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি সদরে ও দিঘীনালায় হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা জোট।
শুক্রবার সকাল ১১টায় দিকে বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্র-জনতারা জড়ো হয়ে মানিকছড়ি গিরীমৈত্রী সরকারী কলেজ মাঠ থেকে শুরু করে আমতল চত্বর ঘুরে ধর্মঘর বটমূলে এসে প্রতিবাদ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আনু মারমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাচিংউ মারমা, এচিং মারমা, সাচিং মারমা, অংচি মারমা প্রমূখ।
এসময় বক্তারা, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেটেলার কর্তৃক সন্ত্রাসী কায়দায় পাহাড়িদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলা, দিঘীনালায় দোকানে অগ্নিসংযোগ এবং গভীর রাতে খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বক্তাদের দাবী অসাংবিধানিক পার্বত্য অঞ্চলে সেনা শাসন প্রত্যাহার, ১৯ সেপ্টেম্বরের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি জানান।
বক্তব্য আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙ্গালীরা মিলেমিশে থাকতে চাই। কিন্তু বাঙালি হত্যার অভিযোগে পাহাড়িদের দোকান-ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। কেন পাহাড়িদের ওপরে হামলা-অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, আমাদেরও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একটি মহল সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করা না হয় তাহলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। পাহাড়ি বাঙালি বিভেদ তৈরি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র কখনোই সফল হবেনা। পাহাড়ের ছাত্র-জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছে। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবেনা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান বক্তারা।
প্রসংঙ্গ, গত বুধবার ভোর রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে শালবন নিবাসী মো: মামুন মোটরসাইকেল চুরি করে পালানো সময় বৈদ্যুতিক খুঁটি সাথে ধাক্কা লেগে তার মৃত্যু হয়। এ রেশ ধরে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। এর মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)।