নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়িঃ
খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে পিসিপি’র সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার জনকে হত্যা করেছে। এছাড়া এ ঘটনায় আরো দুই জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে পানছড়ি উপজেলার লোগাঙ ইউনিয়নের অনিল পাড়া নামক গ্রামে এ হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পিসিপি’র সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা (৩২), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল কান্তি ত্রিপুরা (২৮), গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা (২৯) ও ইউপিডিএফ সদস্য রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (৪৯)।
নিহতদের মধ্যে বিপুল চাকমার বাড়ি চেঙ্গী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করল্যাছড়ি বুদ্ধধন পাড়া এলাকায় সুনয়ন চাকমার ছেলে। সুনীল ত্রিপুরার বাড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলার বড়নালা ইউনিয়নের সুরেন্দ্র রোয়াজা হেডম্যান পাড়া এলাকায় সুখেন্দু বিকাশ ত্রিপুরা, লিটন চাকমার বাড়ি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের দ্রোনচার্য্য কার্বারি পাড়া এলাকায় মৃত. চিন্তা মুনি চাকমা এবং রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা পানছড়ির উপল্টাছড়ি ইনিয়নের পদ্মিনী পাড়ার বাসিন্দা জনাধন ত্রিপুরার ছেলে।
এই ঘটনায় আরো নিখোঁজ রয়েছেন ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরা।
স্থানীয়রা জানায়, সাংগঠনিক কাজের জন্য বিপুল চাকমাসহ আরো ৫/৬ জন নেতা-কর্মী গতকাল লোগাঙ এলাকায় যান। রাতে বেলায় অনিল পাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করেন। রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে হানা দিয়ে এলোপাতারি গুলি করে। এসময় বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন ত্রিপুরাকে ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করে পরে দুবৃর্ত্তরা পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় নিখোঁজ তিন জনের মধ্যে নীতিদত্ত ও হরি কমলকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা আশংকা করছেন। বর্তমানে ঐ এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টইলরত জোরদার করা হয়েছে।