Dhaka , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাইবান্ধায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বিপদসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি

print news

 

মানিক সাহা, গাইবান্ধাঃ

 

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছ। জেলার উপর দিয়ে বয়েচলা তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি ৫৩ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

অপরদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া, কামারজানি, ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করছে। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থির উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে।

 

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, নদী বেষ্টিত যে যেসব ইউনিয়ন রয়েছে। সেই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রত্যক্ষ সদস্যদের নদীর পাড় পার্শ্ববর্তী যেসব ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে গ্রুপ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঐসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্থতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রাথমিক সব প্রস্থতি নেয়া হয়েছে।

 

এদিকে শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বাড়ছে নদী তীরবর্তী মানুষের উৎকন্ঠা। অনেকেই গবাদী পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা যুগ্ম মহাসচিব এর সাথে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপুর সৌজন্যে সাক্ষাৎ

গাইবান্ধায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বিপদসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তার পানি

প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
print news

 

মানিক সাহা, গাইবান্ধাঃ

 

টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই নিম্নাঞ্চলসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছ। জেলার উপর দিয়ে বয়েচলা তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি ৫৩ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ৫৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

অপরদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া, কামারজানি, ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করছে। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থির উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখা হচ্ছে।

 

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, নদী বেষ্টিত যে যেসব ইউনিয়ন রয়েছে। সেই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রত্যক্ষ সদস্যদের নদীর পাড় পার্শ্ববর্তী যেসব ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে গ্রুপ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঐসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্থতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রাথমিক সব প্রস্থতি নেয়া হয়েছে।

 

এদিকে শনিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বাড়ছে নদী তীরবর্তী মানুষের উৎকন্ঠা। অনেকেই গবাদী পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে নিরাপদ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।