Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আইনজীবিকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে কর্মরত আইনজীবি সমিতির মানববন্ধন

print news

 

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

 

চট্টগ্রাম আদলতের এপিপি সাইফুল ইসলাম (আলিফ) হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি আইনজীবি সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় আদালত প্রাঙ্গানে প্রধান ফটকে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, এ্যাডভোকেট আবদুল গাফ্ফার মুন্না, সাবেক সভাপতি প্রবীন আইনজীবি এ্যাভোকেট মোখতার আহম্মদ, পাবলিক প্রসিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু প্রমুখ।

 

এসময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, এতে আমরা ক্ষুব্ধ। আমার একজন পেশাদার ভাইকে যারা হত্যা করেছে ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বক্তারা।

 

এদিকে চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ছয়জনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়, হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে মহানগর সিএমপি। বন্দরনগরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সিএমপি জানিয়েছে, চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও আইনজীবী হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। খুনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও আইনজীবী খুনের মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমকে।

 

আইনজীবী হত্যার নিন্দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এর আগে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠুতা তদন্ত এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধারণ এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসহ বন্দরনগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

চট্টগ্রামে আইনজীবিকে নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে কর্মরত আইনজীবি সমিতির মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪
print news

 

 

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

 

চট্টগ্রাম আদলতের এপিপি সাইফুল ইসলাম (আলিফ) হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাঙামাটি আইনজীবি সমিতি। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় আদালত প্রাঙ্গানে প্রধান ফটকে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।

 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি আইনজীবী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, এ্যাডভোকেট আবদুল গাফ্ফার মুন্না, সাবেক সভাপতি প্রবীন আইনজীবি এ্যাভোকেট মোখতার আহম্মদ, পাবলিক প্রসিউটর (পিপি) এ্যাডভোকেট প্রতীম রায় পাম্পু প্রমুখ।

 

এসময় বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে একজন আইনজীবীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, এতে আমরা ক্ষুব্ধ। আমার একজন পেশাদার ভাইকে যারা হত্যা করেছে ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বক্তারা।

 

এদিকে চট্টগ্রামে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক ছয়জনকে ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে বলা হয়, হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এই ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে মহানগর সিএমপি। বন্দরনগরে ককটেলসহ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

সিএমপি জানিয়েছে, চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও আইনজীবী হত্যার অভিযোগে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। খুনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই-বাছাই করছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা ও আইনজীবী খুনের মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমকে।

 

আইনজীবী হত্যার নিন্দায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এর আগে মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন গণমাধ্যম কে জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠুতা তদন্ত এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে ধৈর্য্য ধারণ এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসহ বন্দরনগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যথাযথ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।