Dhaka , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“জুম পাহাড়ের বুকে বিজ্ঞানের ফুল ফুটাতে মরিয়া ঘাগড়ার তরুণ উদ্ভাবকরা

print news

 

 

উপ্ত চাকমা, কাউখালী প্রতিনিধিঃ

 

বলছি ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাবের কথা। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বরূপ চৌধুরীর হাত ধরে বিজ্ঞানমনষ্ক কিছু তরুণের প্রচেষ্টায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মত প্রত্যন্ত এলাকায় শুরু হয় ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাবের কার্যক্রম। শান্ত, অর্ণব, পলেনের নেতৃত্বে ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে উপজেলা,জেলা,বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে এগিয়ে যেতে থাকে। প্রথমবারের মত ২০২২ সালে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত “44th National science and technology competition” এ ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাব অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রজেক্টের ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় তেমন ভালো ফলাফল আসেনি। তবে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি যার ফলস্বরূপ ২০২৪ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কতৃক আয়োজিত “45th National science and technology competition” জাতীয় পর্যায়ের বাঘা বাঘা বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে পেছনে ফেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে চতুর্থ স্থান অধিকার করে এবং ৪৪ ও ৪৫ তম কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন্স টিমগুলোকে নিয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কতৃক আয়োজিত “Special champions competition”এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ক্লাবের ফাউন্ডার স্বরূপ চৌধুরীর ভাষ্যমতে: বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি চাই এই তরুণ উদ্ভাবকদের হাত ধরেই পাহাড়ে বিজ্ঞানের প্রসার হোক। জেলা প্রশাসনের সহায়তা পেলে এই কাজটি আর গোছালো ও সাবলীল হবে বলে আশা করছি।

 

টিম লিডার শান্ত পালের ভাষ্যমতে: তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ক্লাবকে ২য় স্থানে নিয়ে যেতে আমরা অনেক বাধা-বিপত্তি, হাসির পাত্র হয়েছি। তবে আমরা দমে যায়নি, অর্ণবের মাস্টারমাইন্ডিং প্ল্যান, পলেনের হার্ডওয়ার্ক,হৃদয়,সৌম্য, এনাম স্যার, এমরান, সৌমিক, রিভেঞ্জ দাশ ,রশ্মি দাশ, সুহৃদ সেন, প্রিয়াঙ্কা তালুকদারের সহযোগিতা আমাদের সবসময় সাহস জুগিয়েছে এবং আমরা পেরেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিজ্ঞান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং ধাপে ধাপে আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এই কাজে জেলা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

“জুম পাহাড়ের বুকে বিজ্ঞানের ফুল ফুটাতে মরিয়া ঘাগড়ার তরুণ উদ্ভাবকরা

“জুম পাহাড়ের বুকে বিজ্ঞানের ফুল ফুটাতে মরিয়া ঘাগড়ার তরুণ উদ্ভাবকরা

প্রকাশিত: এই মাত্র
print news

 

 

উপ্ত চাকমা, কাউখালী প্রতিনিধিঃ

 

বলছি ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাবের কথা। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঘাগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক স্বরূপ চৌধুরীর হাত ধরে বিজ্ঞানমনষ্ক কিছু তরুণের প্রচেষ্টায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মত প্রত্যন্ত এলাকায় শুরু হয় ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাবের কার্যক্রম। শান্ত, অর্ণব, পলেনের নেতৃত্বে ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে উপজেলা,জেলা,বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করে এগিয়ে যেতে থাকে। প্রথমবারের মত ২০২২ সালে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত “44th National science and technology competition” এ ঘাগড়া বিজ্ঞান ক্লাব অংশগ্রহণের সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রজেক্টের ইন্সট্রুমেন্ট না থাকায় তেমন ভালো ফলাফল আসেনি। তবে তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখেনি যার ফলস্বরূপ ২০২৪ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কতৃক আয়োজিত “45th National science and technology competition” জাতীয় পর্যায়ের বাঘা বাঘা বিজ্ঞান ক্লাবগুলোকে পেছনে ফেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের একমাত্র বিজ্ঞান ক্লাব হিসেবে চতুর্থ স্থান অধিকার করে এবং ৪৪ ও ৪৫ তম কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ন্স টিমগুলোকে নিয়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর কতৃক আয়োজিত “Special champions competition”এ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

ক্লাবের ফাউন্ডার স্বরূপ চৌধুরীর ভাষ্যমতে: বিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আমি চাই এই তরুণ উদ্ভাবকদের হাত ধরেই পাহাড়ে বিজ্ঞানের প্রসার হোক। জেলা প্রশাসনের সহায়তা পেলে এই কাজটি আর গোছালো ও সাবলীল হবে বলে আশা করছি।

 

টিম লিডার শান্ত পালের ভাষ্যমতে: তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ক্লাবকে ২য় স্থানে নিয়ে যেতে আমরা অনেক বাধা-বিপত্তি, হাসির পাত্র হয়েছি। তবে আমরা দমে যায়নি, অর্ণবের মাস্টারমাইন্ডিং প্ল্যান, পলেনের হার্ডওয়ার্ক,হৃদয়,সৌম্য, এনাম স্যার, এমরান, সৌমিক, রিভেঞ্জ দাশ ,রশ্মি দাশ, সুহৃদ সেন, প্রিয়াঙ্কা তালুকদারের সহযোগিতা আমাদের সবসময় সাহস জুগিয়েছে এবং আমরা পেরেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিজ্ঞান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এবং ধাপে ধাপে আমরা সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এই কাজে জেলা প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।