রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ
বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এবারে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পদে কে হতে যাচ্ছেন ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে? এমন প্রশ্ন নিয়ে গুন গুন জোয়ারে ভাসছে ত্রিপুরা সম্প্রদায়। ইতিমধ্যে ত্রিপুরা থেকে কয়েকজনের নাম সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তন্মধ্যে ৩নং রেমাক্রী প্রাংসা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেস্তরাম ত্রিপুরাও নাম নিশ্চিত করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউজিন ত্রিপুরা (মেস্তরাম) জেলা পরিষদ সদস্য পদের নাম ন্যস্ত হওয়া ব্যাপারে তাঁর নামে কয়েকটি অভিযোগ উঠে আসছে বলে জানা গেছে। নুসিংথোয়াই মার্মা -News bangla24.com ও Ekushey Patrika কর্মরত সাংবাদিক, তাঁর Facebook আইডিতে ইউজিন ত্রিপুরা নামে অভিযোগ করে তিনি লিখেছেন -ত্রিপুরা সম্প্রদায়ে অভিযোগ, ইউজিন ত্রিপুরা নিজেকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য বানাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে তদবীর করে যাচ্ছেন। তাদের ভাষ্যমতে, ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে ইউজিন ত্রিপুরাকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হলে ত্রিপুরা সম্প্রদায় তার কাছে কতটা নিরাপদ থাকবে এই বিষয়ে নীতি নির্ধারকদের খতিয়ে দেখার দাবিও জানিয়েছেন।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ে একাধিক সমাজকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তারা জানিয়েছেন, ইউজিন ত্রিপুরা রুমা উপজেলার ৩নং রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নে সাবেক সফল চেয়ারম্যান। ৩নং রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নের দায়িত্ব পালনকালে স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে। স্থানীয়দের অভিযোগ কাউন্টার হিসেবে ধরে নিলাম একজন জনপ্রতিনিধি সবার প্রিয় হতে পারে না, হবারও সম্ভব না। এরপর জনসমর্থন না পেয়ে তিনি অনেক চেষ্টা করেও ৩নং রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নে আর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারেননি।
ত্রিপুরা সম্প্রদায় আরও জানায়, তিনি বর্তমানে ৩নং রেমাক্রি প্রাংসা ইউনিয়নে মহিলা কল্যাণ সমিতির নামে বানানো ঘরটা কে নিজের ক্ষমতা অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন করে মহিলা সমিতির সদস্যা নারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে ওই ঘরে দীর্ঘ বছর ধরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা বলেছেন,যার কাছে সামান্য মহিলা কল্যাণ সমিতি ঘর নিরাপদ না তার কাঁধে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ে গার্ডিয়ান/গুরু দায়িত্ব তুলে দিলে তিনি কি করবেন।
বান্দরবান জেলায় পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম ত্রিপুরা সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়ের লোকজনদের জোর দাবি তৃণমূল পর্যায়ে গিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায় থেকে বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হোক। এই ব্যাপারে মিথ্যা এবং অযোক্তিক অপপ্রচারের জন্য তীব্র নিন্দা ও বিবৃতি জানান ইউজিন ত্রিপুরা।
তিনি বলেন, "একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সবার কাছে সবার প্রিয় ও সবার খারাপ ব্যক্তি হতে পারেনা"। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভাল-মন্দ থাকতে পারে এটা সাভাবিক। তবে আমার নামে যে অভিযোগ বিষয় নিয়ে তুলে ধরা হয়েছে, সে অভিযোগ গুলোকে নিয়ে আগে সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া উত্তম বলে আমি মনে করি।
"রেমাক্রী প্রাংসা নারী কল্যাণ সংস্থা " অভিযোগ বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ইউজিন বলেন, বিগত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান দায়িত্ব থাকাকালীন নিজস্ব ভূমিতে, নিজের অর্থায়নের উদ্যোগে এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়েও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগীতায় "রেমাক্রী প্রাংসা নারী কল্যাণ সংস্থা ও হস্ত শিল্প বিক্রয় প্রদর্শনী কেন্দ্র ভবণটি নারী কল্যাণ সভানেএী মার্জনী ত্রিপুরা আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে নির্মাণ করা হয়। নারী কল্যাণ সংস্থা কমিটি ও সদস্য গুলো আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে সংস্থাটি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ভবনটি বছর খানিক অকেজো ভাবে পড়ে থাকার কারণে জরাজীর্ণ রুপ ধারণ করে। ভবনটি অবক্ষয় রোধ করার জন্য সেখানে তিনি তাঁর পরিবার পরিজনদের নিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : নিউটন চাকমা
সিএইচটি বার্তা