Dhaka , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

থানচিতে দর্শনীয় স্থানগুলোতে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের নাম।

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে
print news

চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের থানচিতে ডিম পাহাড় থেকে শুরু করে নাফাখুম, বড় পাথর, সাতভাই খুম, আন্ধারমানিক ইত্যাদি ঝর্ণা-ঝিরি, বিভিন্ন স্থান ও এলাকার নামসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং সেরা দর্শনীয় স্থানের নামগুলো ওখানকার জীববৈচিত্র্যের ঐতিহাসিক বাস্তব ঐতিহ্যের নাম না রেখে বিক্রিত নাম রাখা হয়েছে। এতে দর্শনীয় স্থান, এলাকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণে নামগুলো বিলুপ্তির পথে।

তাইংছৈ কেন থানচি? ক্রাউ মাক্যাক টং কেন ডিম পাহাড়? বংড ক্যক্ লুং কেন বড় পাথর? ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও দর্শনীয় স্থানের নামগুলোতে ঐতিহ্যের নাম না রেখে বিক্রিত নাম রাখা হয় কেন? উপজেলার বিভিন্ন সময়ে পর্যটন শিল্প খাতের উন্নয়নে দর্শনীয় স্থানগুলোতে এলাকার মানুষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নাম রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন সচেতনমহল।

স্থানীয় সচেতনমহল বলছেন– পর্যটন স্পটের নামগুলোসহ সকল পর্যায়ের নামগুলো  বিক্রিত নাম না রেখে স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামে নামকরণে সর্বোচ্চ অধিকার দিতে হবে। পর্যটন স্পটের নামগুলোতে ওখানকার এলাকার স্থানীয় সচেতনমহলের সাথে সু-পরামর্শের মতামতে জীববৈচিত্র্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত নাম রাখার দাবি তাদের। পর্যটন শিল্পের পর্যটনগুলোতে ইচ্ছে মতো নাম না দিয়ে এলাকার মানুষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী নামকরণ করা উচিত! পর্যটনগুলোসহ উপজেলার যে সকল খাতের বিক্রিত নামের হচ্ছে সেগুলো সরকারি ভাবে গেজেটে স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামের নামকরণে সংস্কারের একটাই দাবি জানান সচেতন মহলের।

এদিকে বান্দরবানের সেরা দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ও পছন্দের একটি উপজেলা হচ্ছে থানচি। এই উপজেলাটি জেলা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি শুধু বিশেষত্ব দর্শনীয়তা হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর পর্যটন হিসেবেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে থানচি। এই উপজেলা জুড়ে যে সকল পর্যটন শিল্প খাতের উন্নয়নে পর্যটন স্পটের নামগুলোতে সরকারি গেজেটে এলাকাবাসী বা স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামের নামকরণে দাবি জানিয়েছেন– এলাকাবাসীরা।IMG 20240927 WA0000

থানচির উমংসিং মারমা বলেন, স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামগুলো মুছে গেলে, জাতির সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়। বংড ক্যহলুং যেমন বড় পাথর নামকরণ হয়ে গেলে সেখানকার বসবাসরত মানুষের জীববৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। ক্রাউ মাক্যাক টং হয় ডিম পাহাড় সেটি সংস্কারে থানচিকে তাইছৈ, রিঝুক ঝর্ণাকে রি স্বং স্বং নামকরণেসহ সকল পর্যটন স্পটগুলোতে ওখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণের  দাবি জানান তিনি।
থানচি সদরে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উবামং মারমা জানান, থানচিতে বিভিন্ন স্থানের পর্যটন স্পটগুলোতে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ঐতিহ্যের নামের নামকরন করা উচিত। সে সকল পর্যটনের বিকৃত নামে না ডেকে সকলে সচেতনতা বৃদ্ধির গড়ার প্রত্যয়ে ওখানকার ঐতিহ্যগত রাখা নামকরণ অনুযায়ী সেই নামে ডাকি কিংবা লিখি।

অন্যদিকে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন (গ্রীন ভয়েস) এর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক সাচিনু মারমা জানান, পাহাড়, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যগুলো পাহাড়ে বসবাসরত  মানুষেরা আদিকাল থেকেই সংরক্ষণ করে এসেছে। ফলে পাহাড়ি জনপদ, পর্যটন শিল্প ও সংরক্ষণ স্থানীয়দের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি বহন করে। এতে পরিবেশগতভাবে স্থানীয়রা পর্যটন স্পষ্টগুলো নামকরণ করে থাকে। তাই  পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাথে  আলোচনা  করে  পর্যটন স্পষ্টগুলো নামকরণ করার জন্য  জোর  দাবি  জানান তিনি।

থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আছিম উদ্দীন মিয়া বলেন, পর্যটন শিল্পের খাতে পর্যটন ব্যবসায় ধসের কারণে শতাধিক গাইডসহ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্টের কর্মসংস্থার শূন্য হয়ে পড়েছে। আর পর্যটন স্পটগুলোতে ওখানকার জীববৈচিত্র্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণের বিষয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

থানচিতে দর্শনীয় স্থানগুলোতে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের নাম।

প্রকাশিত: ০৬:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
print news

চিংথোয়াই অং মার্মা,থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানের থানচিতে ডিম পাহাড় থেকে শুরু করে নাফাখুম, বড় পাথর, সাতভাই খুম, আন্ধারমানিক ইত্যাদি ঝর্ণা-ঝিরি, বিভিন্ন স্থান ও এলাকার নামসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং সেরা দর্শনীয় স্থানের নামগুলো ওখানকার জীববৈচিত্র্যের ঐতিহাসিক বাস্তব ঐতিহ্যের নাম না রেখে বিক্রিত নাম রাখা হয়েছে। এতে দর্শনীয় স্থান, এলাকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণে নামগুলো বিলুপ্তির পথে।

তাইংছৈ কেন থানচি? ক্রাউ মাক্যাক টং কেন ডিম পাহাড়? বংড ক্যক্ লুং কেন বড় পাথর? ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও দর্শনীয় স্থানের নামগুলোতে ঐতিহ্যের নাম না রেখে বিক্রিত নাম রাখা হয় কেন? উপজেলার বিভিন্ন সময়ে পর্যটন শিল্প খাতের উন্নয়নে দর্শনীয় স্থানগুলোতে এলাকার মানুষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নাম রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন সচেতনমহল।

স্থানীয় সচেতনমহল বলছেন– পর্যটন স্পটের নামগুলোসহ সকল পর্যায়ের নামগুলো  বিক্রিত নাম না রেখে স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামে নামকরণে সর্বোচ্চ অধিকার দিতে হবে। পর্যটন স্পটের নামগুলোতে ওখানকার এলাকার স্থানীয় সচেতনমহলের সাথে সু-পরামর্শের মতামতে জীববৈচিত্র্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত নাম রাখার দাবি তাদের। পর্যটন শিল্পের পর্যটনগুলোতে ইচ্ছে মতো নাম না দিয়ে এলাকার মানুষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী নামকরণ করা উচিত! পর্যটনগুলোসহ উপজেলার যে সকল খাতের বিক্রিত নামের হচ্ছে সেগুলো সরকারি ভাবে গেজেটে স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামের নামকরণে সংস্কারের একটাই দাবি জানান সচেতন মহলের।

এদিকে বান্দরবানের সেরা দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ও পছন্দের একটি উপজেলা হচ্ছে থানচি। এই উপজেলাটি জেলা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি শুধু বিশেষত্ব দর্শনীয়তা হিসেবে নয়, বাংলাদেশের সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর পর্যটন হিসেবেও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে থানচি। এই উপজেলা জুড়ে যে সকল পর্যটন শিল্প খাতের উন্নয়নে পর্যটন স্পটের নামগুলোতে সরকারি গেজেটে এলাকাবাসী বা স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামের নামকরণে দাবি জানিয়েছেন– এলাকাবাসীরা।IMG 20240927 WA0000

থানচির উমংসিং মারমা বলেন, স্থানীয়দের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামগুলো মুছে গেলে, জাতির সংস্কৃতি বিলুপ্ত হয়। বংড ক্যহলুং যেমন বড় পাথর নামকরণ হয়ে গেলে সেখানকার বসবাসরত মানুষের জীববৈচিত্র্য ও সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। ক্রাউ মাক্যাক টং হয় ডিম পাহাড় সেটি সংস্কারে থানচিকে তাইছৈ, রিঝুক ঝর্ণাকে রি স্বং স্বং নামকরণেসহ সকল পর্যটন স্পটগুলোতে ওখানকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণের  দাবি জানান তিনি।
থানচি সদরে ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উবামং মারমা জানান, থানচিতে বিভিন্ন স্থানের পর্যটন স্পটগুলোতে ওই এলাকার জীববৈচিত্র্যের ঐতিহ্যের নামের নামকরন করা উচিত। সে সকল পর্যটনের বিকৃত নামে না ডেকে সকলে সচেতনতা বৃদ্ধির গড়ার প্রত্যয়ে ওখানকার ঐতিহ্যগত রাখা নামকরণ অনুযায়ী সেই নামে ডাকি কিংবা লিখি।

অন্যদিকে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন (গ্রীন ভয়েস) এর পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সমন্বয়ক সাচিনু মারমা জানান, পাহাড়, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যগুলো পাহাড়ে বসবাসরত  মানুষেরা আদিকাল থেকেই সংরক্ষণ করে এসেছে। ফলে পাহাড়ি জনপদ, পর্যটন শিল্প ও সংরক্ষণ স্থানীয়দের ঐতিহ্যের সংস্কৃতি বহন করে। এতে পরিবেশগতভাবে স্থানীয়রা পর্যটন স্পষ্টগুলো নামকরণ করে থাকে। তাই  পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সাথে  আলোচনা  করে  পর্যটন স্পষ্টগুলো নামকরণ করার জন্য  জোর  দাবি  জানান তিনি।

থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আছিম উদ্দীন মিয়া বলেন, পর্যটন শিল্পের খাতে পর্যটন ব্যবসায় ধসের কারণে শতাধিক গাইডসহ হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, রেস্টুরেন্টের কর্মসংস্থার শূন্য হয়ে পড়েছে। আর পর্যটন স্পটগুলোতে ওখানকার জীববৈচিত্র্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নামকরণের বিষয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হবে।