Dhaka , বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুইজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে থানছি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

print news

হ্লাসিংথোয়াই মারমা;বান্দরবান প্রতিনিধি:

 

বান্দরবানে থানছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব সুযোগ সুবিধার থাকার সত্ত্বেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদসহ ন্যূনতম কর্মী। যার কারণে হাসপাতালটি অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে । কথা ছিল ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়া থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক সংকটের কারণে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়েই বান্দরবান সদরে প্রাইভেটে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে।

 

 

গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালো শয্যাগুলো রোগীশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকজন শিশুসহ ভর্তি রোগী রয়েছে পুরোনো ৩১ শয্যায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগী। এদিকে বর্হিঃবিভাগেও কোন রোগী দেখা যায়নি।

 

 

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, বিশেষজ্ঞসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকার কথা ১২ জন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স ও ৫ জন উপ-সহকারী চিকিৎসকসহ ১০২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ মাত্র দুইজন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্স কর্মরত আছেন। এখনো শূন্য রয়েছে ৪৫ জনের পদ।

 

 

মাংলুং পাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ম্যালেরীয়া রোগী নাংলে খুমী জানান, হাসপাতালের বেডগুলো খুবই নোংরা, অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ । তাই এখানে ভর্তি হতে হলে বাড়ি থেকে আলাদা কম্বল নিয়ে আসতে হয়। চিকিৎসক সংকট জেনেও জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতালটিতে ভর্তি করতে হয়েছে। এখানে ওয়ার্ডবয়দের সচরাচর দেখা যায় না।

 

 

হুকু পাড়া থেকে পেট ব্যথা নিয়ে আসা আরেক রোগী অংথাংলিং খুমী জানান, এখানে নেই ডাক্তার , নেই নার্স, নাই যন্ত্রপাতি কার কাছে চিকিৎসা নিবো? । তাই আমাকে বাধ্য হয়ে জেলা সদরে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়েছে।

 

 

থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, কেবল দুজন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চালানো অসম্ভব। ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা দুজন।

 

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লোকবল বাড়ানোর চাহিদাপত্র পাঠালেও কোন সুফল মিলছে না।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

জেলা পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

দুইজন চিকিৎসক দিয়েই চলছে থানছি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

প্রকাশিত: ০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
print news

হ্লাসিংথোয়াই মারমা;বান্দরবান প্রতিনিধি:

 

বান্দরবানে থানছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সব সুযোগ সুবিধার থাকার সত্ত্বেও নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদসহ ন্যূনতম কর্মী। যার কারণে হাসপাতালটি অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে । কথা ছিল ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়া থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসক সংকটের কারণে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা না পেয়ে বাধ্য হয়েই বান্দরবান সদরে প্রাইভেটে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে।

 

 

গত ১৬ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালো শয্যাগুলো রোগীশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকজন শিশুসহ ভর্তি রোগী রয়েছে পুরোনো ৩১ শয্যায়। এদের মধ্যে বেশির ভাগই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগী। এদিকে বর্হিঃবিভাগেও কোন রোগী দেখা যায়নি।

 

 

সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, বিশেষজ্ঞসহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকার কথা ১২ জন চিকিৎসক, ১৮ জন নার্স ও ৫ জন উপ-সহকারী চিকিৎসকসহ ১০২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। কিন্তু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ মাত্র দুইজন চিকিৎসক ও ৫ জন নার্স কর্মরত আছেন। এখনো শূন্য রয়েছে ৪৫ জনের পদ।

 

 

মাংলুং পাড়া থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ম্যালেরীয়া রোগী নাংলে খুমী জানান, হাসপাতালের বেডগুলো খুবই নোংরা, অপরিষ্কার, দুর্গন্ধ । তাই এখানে ভর্তি হতে হলে বাড়ি থেকে আলাদা কম্বল নিয়ে আসতে হয়। চিকিৎসক সংকট জেনেও জেলা সদরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার সামর্থ্য না থাকায় হাসপাতালটিতে ভর্তি করতে হয়েছে। এখানে ওয়ার্ডবয়দের সচরাচর দেখা যায় না।

 

 

হুকু পাড়া থেকে পেট ব্যথা নিয়ে আসা আরেক রোগী অংথাংলিং খুমী জানান, এখানে নেই ডাক্তার , নেই নার্স, নাই যন্ত্রপাতি কার কাছে চিকিৎসা নিবো? । তাই আমাকে বাধ্য হয়ে জেলা সদরে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়েছে।

 

 

থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, কেবল দুজন চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চালানো অসম্ভব। ২৪ ঘণ্টা হাসপাতাল চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা দুজন।

 

তিনি আরো বলেন, মন্ত্রণালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লোকবল বাড়ানোর চাহিদাপত্র পাঠালেও কোন সুফল মিলছে না।