রিপন মারমা, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণ নিয়ে কিছু সংশয় ছিল। বর্তমানে সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লক্ষ টন চালের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে খাদ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। বর্তমানে দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণ সকাল বেলায় ভাতের পরিবর্তে গমের আটার রুটি খাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে মাত্র ১০ লক্ষ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়, আর বাকি ৬০ লক্ষ টন গম বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চল সহ রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ চট্টগ্রামের কিছু অংশে ধানের ফসল খুব ভালো হয়েছে। তা থেকে আশা করা হচ্ছে সামনে আমাদের খাদ্যর সমস্যা হবে না। আমাদের অন্তর্বতীকালীন সরকার খাদ্য সংরক্ষণ করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলা কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের রেস্ট হাউজ বিদ্যুৎ ভবনে সম্মেলন কক্ষে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং রাঙ্গামাটি জেলার ১০ টি উপজেলার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে রাঙ্গামাটি জেলার খাদ্য মজুদ ও বিতরণ পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) এর সভাপতিত্বে এসময় কাপ্তাই উপজেলার প্রাক্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সফি উল আলম, রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার ড: এস এম ফরহাদ হোসেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, রাঙ্গামাটি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুগতি চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাপ্তাই খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক : নিউটন চাকমা
সিএইচটি বার্তা