Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সংস্কার সমাধান ঘটলে চুক্তির মৌলিক অধিকার পাবে—- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

print news

 

 

সিএইচটি বার্তা, ঢাকা অফিসঃ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, লোক দেখানোর মতো কোনো কাজ করা অবাঞ্চনীয়। সকলের সহযোগিতা পরামর্শ করেই মিলেমিশে একসাথে পাশে থেকে কাজ করতে হবে। ভূমি সংস্কারের সমাধান হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জনগোষ্ঠীদের মধ্যে ভ্রার্তৃত্ব সুসংগঠিত হবে এবং পার্বত্য চুক্তির মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘দ্য চিটাগং হিল ট্রাক্টস এ্যাকোর্ড : ট্রান্সফরমিং হারমনি ইনটু প্রসপারিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী সমাধানের জন্য ভূমি ইস্যু সমাধানে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনে উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ কমিশনে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে ভূমি সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে।

 

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ কাজকে তুরাম্বিত করতে নতুন করে সাজাতে হবে। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে একসাথে সবাইকে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীকে আত্ননির্ভরশীল গড়ে উঠতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করা একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

 

প্রসঙ্গত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। বিগত ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গুলোকে দেশের উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

 

পার্বত্য চট্টগাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ঢাকা’র আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তুষার কান্তি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ডক্টর নীলু কুমার তঞ্চঙ্গা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সংস্কার সমাধান ঘটলে চুক্তির মৌলিক অধিকার পাবে—- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

প্রকাশিত: ০২:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
print news

 

 

সিএইচটি বার্তা, ঢাকা অফিসঃ

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, লোক দেখানোর মতো কোনো কাজ করা অবাঞ্চনীয়। সকলের সহযোগিতা পরামর্শ করেই মিলেমিশে একসাথে পাশে থেকে কাজ করতে হবে। ভূমি সংস্কারের সমাধান হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল জনগোষ্ঠীদের মধ্যে ভ্রার্তৃত্ব সুসংগঠিত হবে এবং পার্বত্য চুক্তির মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

 

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি’র ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘দ্য চিটাগং হিল ট্রাক্টস এ্যাকোর্ড : ট্রান্সফরমিং হারমনি ইনটু প্রসপারিটি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী সমাধানের জন্য ভূমি ইস্যু সমাধানে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে প্রয়োজনে উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ ও আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেওয়া হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ কমিশনে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে প্রধান করে ভূমি সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে।

 

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ কাজকে তুরাম্বিত করতে নতুন করে সাজাতে হবে। আস্থা ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে একসাথে সবাইকে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠীকে আত্ননির্ভরশীল গড়ে উঠতে হবে। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি স্থাপন করা একমাত্র লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।

 

প্রসঙ্গত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে সরকার আন্তরিক। বিগত ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গুলোকে দেশের উন্নয়নের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

 

পার্বত্য চট্টগাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব একেএম শামিমুল হক ছিদ্দিকী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকণ ও পুনর্বাসন সম্পর্কিত টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ঢাকা’র আহ্বায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) তুষার কান্তি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ডক্টর নীলু কুমার তঞ্চঙ্গা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।