রুপম চাকমা, বাঘাইছড়িঃ
পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে বিপ্লবী সূর্য সেনের মত দক্ষ, ত্যাগী ও সাহসী অসংখ্য নেতার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।
শুক্রবার ১২ জানুয়ারি ২০২৪ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা মাস্টারদা সূর্যসেনের ৯০তম ফাঁসি দিবসে সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের সূর্যসেনের অবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত এক সভায় তিনি একথা বলেন।
এসময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি সোহেল চাকমা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সুদেব চাকমা ও সাধরণ সম্পাদক রোনাল চাকমা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক জসদ জাকিরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অমল ত্রিপুরা বলেন, ভারতবর্ষের ব্রিটিশ শাসন অবসানের লক্ষ্যে মাস্টারদা সূর্য সেন, তরকেশ্বর, ক্ষুদিরাম, ভগৎসিং, প্রীতিলতাসহ শত শত বিপ্লবী জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ভারত স্বাধীনতার জন্য চট্টগ্রামে থেকে সূর্য সেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র লড়াই পরিচালিত হয়েছিল। সূর্য সেনের উদ্দেশ্য ছিল “চট্টগ্রাম থেকে যুদ্ধ শুরু করে ব্রিটিশদের ভারতবর্ষ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া”। তাঁর সেই উদ্দেশ্য সফল হয়েছে বলা যেতে পারে। ১৯৩৪ সালে ১২ জানুয়ারি সূর্য সেন, তরকেশ্বরকে ফাঁসি দেওয়ার পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশরা বিতাড়িত হয়েছিল।
সূর্য সেনসহ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবীদের স্যালুট জানিয়ে অমল ত্রিপুরা বলেন, বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনসহ ব্রিটিশ শাসকের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, যারা কঠোর নির্যাতন, নিপীড়নের মধ্যে দিয়েও সংগ্রাম করে ভারতকে মুক্ত ও স্বাধীন করেছিলেন সে সকল বিপ্লবীদের আমরা স্যালুট জানাই। তাদের মহান আত্মত্যাগ পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বিশ্বের সকল নিপীড়িত জাতি ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার সাহস, শক্তি ও অনুপ্রেরণা জাগায়।