বিশেষ প্রতিবেদকঃ
পার্বত্য চট্টগ্রামের অপরুপ সৌন্দর্যময় পাহাড় ঘেরা লীলা ভূমি জেলা বান্দরবানের অদূর পাহাড়ের বুকে দূর্গম পিছিয়ে পড়া মারমা গ্রামের জন্মের কিশোরী হতদরিদ্রের পরিবারে কৃতি সন্তান মেখিং চো মারমা। কিশোরী নবীন কন্ঠ শিল্পী মেখিং চো মারমা ভবিষ্যতে সকলের আর্শীবাদ নিয়ে বড় শিল্পী হতে চাই। সকলের সার্বিক সহযোগীতায় হাত বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি। সে বর্তমানে বন্দর পাবলিক হাই স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শির্ক্ষাথী। তার বয়স ১৪ বছর। তার গ্রামের বাড়ি কুয়ালং ইউনিয়নের ক্যমলং পাড়ায় কিশোরী শৈশব জীবন কাটিয়েছে। এরপর পিতা মাতা অভাবের কারনে আর্থিক সম্মুখীন হওয়ায় ৪র্থ শ্রেণি পড়াকালীন অভিভাবকের সাথে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে। ৪র্থ শ্রেণি থেকে সংগীত চর্চায়। রবীন্দ্র সংগীত, মারমা গান, চাকমা গান, বাংলা গান, হিন্দি গান সহ বিভিন্ন অনুষ্টানে কিংবা ফেসবুক লাইভ সো-তে তাকে দেখা যায়। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে সময় পেলে বিভিন্ন কালচারাল প্রোগ্রাম ও লাইভ সো-তে অংশগ্রহণ করে বলে গণমাধ্যম কে জানায়।
১৩ জানুয়ারি সরেজমিনে তার বাসায় গিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কিশোরী নবাগত কণ্ঠে শিল্পী মেখিং চো মারমা কে তার প্রতিভা, গানের সংগীতে কখন কিভাবে আসা ইত্যাদি বিষয়ের উপর তার কথা হলে জানায়, তার পিতা-মাতা দু’জনেই চট্টগ্রামে গার্মেন্টস এ চাকুরী করেন। কিশোরী নবাগত পাহাড়ের কন্যা শিল্পী মেখিং চো মারমার পিতা বলেন, নিরাস হয়োনা, যত বাঁধা আসুক সামনের দিনগুলি বাঁধা পেরিয়ে সততা ও প্রচেষ্টা অধ্যবসায় জীবনের সফল বয়ে আনবে কোন একদিন। তোমার মা-বাবা ও গুরুজনদের আর্শীবাদে অক্লান্ত ধৈর্য্য একদিন স্বার্থক হবে। সকলে তাকে যে যেভাবে সম্ভব, আর্থিক বা টেকনিক্যাল সংগীত সাপোর্ট দিয়ে অন্যান্য কাজে সহযোগিতার জন্য দেশি-বিদেশি, প্রবাসী ভাইদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন কন্ঠ শিল্পী মেখিং চো মারমা ও তার পরিবার।
শিল্পী মেখিং চো আরও বলেন, ভবিষ্যতে সকলের হৃদয় ভরা ভালোবাসা ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে ভালো মানের সংগীত ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনা আত্নবিশ্বাসী বলে জানান তিনি। সে গানের ভূবনের হৃদয় ভরা গান পরিবেশনের মাঝে ছড়িয়ে স্রোতাদেরকে মন জয় করে নিজেকে প্রসারিত করতে চান। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি শত ব্যস্ততার মাঝে গানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বেঁচে থাকতে চাই। সবার সার্পোট পেলে ভবিষ্যতে স্বপ্নপুরনে নির্দিষ্ট গন্তব্য পৌছাতে সক্ষম।
হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে জন্মগ্রহন করা মেখিং চো মারমা বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি পরিশ্রম অধ্যবসায় মধ্যে দিয়ে গানের সংগীত নিয়ে সবার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। মা বাবা সামান্য বেতনে গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে লেখাপড়া ও সঙ্গীতের খরচ খুব অনটনের মধ্যে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও প্রিয় সংগীতকে পিছনে না রেখে প্রতিকুলতার মাঝেও প্রতিভার জন্য চালিয়ে যাচ্ছি। সুতরাং লক্ষ্য মা বাবার স্বপ্নপুরণ। শত কষ্ট হলেও গানের কলি দিয়ে স্রোতাদের মন জয় করতেই মরিয়া।