Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, ঝুঁকিতে ৪০ হাজার পরিবার।

print news

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানে তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সাত উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার।

সোমবার (১ জুলাই) বান্দরবানে সকাল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস হতে জানা যায়, সকাল ৬টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।  ভারী বর্ষনের কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে শহরের নিমাঞ্চল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের সদর উপজেলার কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, বনরূপাপাড়া, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় হাজারও মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও জানা যায়, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, লামা উপজেলার হরিণমারা, ইসলামপুর, গজালিয়া, মুসলিমপাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, হরিণঝিড়ি, টিঅ্যান্ডটি এলাকা, সরই, রূপসীপাড়া।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রু, হেডম্যানপাড়া, দৌছড়ি, বাইশারীসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি পরিবারের অপরিকল্পিত বসবাস রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পরিবারগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

IMG 20240701 WA0027

অপর দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে বান্দরবান- রুমা রোডের ধলিয়ান পাড়া এবং ১২ মাইলের মাঝামাঝি স্থানে প্রধান সড়ক পাহাড় ধসে মাটি পড়ে বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা মাটি সরানোর ফলে ছোট গাড়ি চলাচল করেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা শহরসহ  প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্কতা অবলম্বন ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’

Tag :
জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, ঝুঁকিতে ৪০ হাজার পরিবার।

প্রকাশিত: ০৬:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪
print news

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ

বান্দরবানে তিন দিনের টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে সাত উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ৪০ হাজার পরিবার।

সোমবার (১ জুলাই) বান্দরবানে সকাল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস হতে জানা যায়, সকাল ৬টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।  ভারী বর্ষনের কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে শহরের নিমাঞ্চল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বান্দরবানের সদর উপজেলার কালাঘাটা, কাসেমপাড়া, ইসলামপুর, বনরূপাপাড়া, হাফেজঘোনা, বাসস্টেশন এলাকা, স্টেডিয়াম এলাকা, নোয়াপাড়া, কসাইপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় হাজারও মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও জানা যায়, রুমা উপজেলার হোস্টেলপাড়া, লামা উপজেলার হরিণমারা, ইসলামপুর, গজালিয়া, মুসলিমপাড়া, চেয়ারম্যানপাড়া, হরিণঝিড়ি, টিঅ্যান্ডটি এলাকা, সরই, রূপসীপাড়া।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উত্তরপাড়া, বাইশফাঁড়ি, আমতলী, রেজু, তুমব্রু, হেডম্যানপাড়া, দৌছড়ি, বাইশারীসহ সাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি পরিবারের অপরিকল্পিত বসবাস রয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পরিবারগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে।

IMG 20240701 WA0027

অপর দিকে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে বান্দরবান- রুমা রোডের ধলিয়ান পাড়া এবং ১২ মাইলের মাঝামাঝি স্থানে প্রধান সড়ক পাহাড় ধসে মাটি পড়ে বাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্থানীয়রা মাটি সরানোর ফলে ছোট গাড়ি চলাচল করেছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, ‘পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা শহরসহ  প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্কতা অবলম্বন ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।’