Dhaka , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে নতুন বছরের শুভ সূচনায় ফুল বিজু উৎসব।

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন বছরের শুভ সূচনায় সবার মঙ্গল কামনায় বান্দরবান শহরে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসব শুরু করেছেন।

আজ (১২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সাঙ্গু নদীর পাড়ে  বর্ণাঢ্য পোশাক পরে বিজু ফুল (মাধবীলতা) ও হরেক বুনো ফুল কলাপাতায় ভরে নিয়ে পানিতে নেমে তাঁরা প্রণাম করে ফুল ভাসিয়ে দেন।

নদীতে ফুল ভাসাতে আসা চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের তরুণীরা বলেন, এই ‘ফুল বিজু’র মাধ্যমে গঙ্গাদেবীর মঙ্গল কামনায় ও পুরানো বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত ও সর্বস্তরের মানুষের বিজুর শুভেচ্ছা জানান। সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকে। এ দিনটা আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন।

নদীতে ফুল ভাসাতে আসা উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানতে ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানতে নদীর ঘাটে ফুল দিতে এসেছি। বিজু উৎসবের দিনে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো হয়। মূল বিজুর দিনে ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের খাবার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩০-৩২ ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় পাচন।

যুগ যুগ ধরে বর্ণাঢ্য পোশাক পরে নানা রকমের খাবার-দাবার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে উৎসবটি পালন করে থাকেন আদিবাসীরা।

এই উৎসবটি পাহাড়ে একেক জনগোষ্ঠীর কাছে আলাদা আলাদা নামে পরিচিত। যেমন- বিজু, বিহু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান ও সাংগ্রাইং।

Tag :
জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে নতুন বছরের শুভ সূচনায় ফুল বিজু উৎসব।

প্রকাশিত: ০৬:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নতুন বছরের শুভ সূচনায় সবার মঙ্গল কামনায় বান্দরবান শহরে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিজু উৎসব শুরু করেছেন।

আজ (১২ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সাঙ্গু নদীর পাড়ে  বর্ণাঢ্য পোশাক পরে বিজু ফুল (মাধবীলতা) ও হরেক বুনো ফুল কলাপাতায় ভরে নিয়ে পানিতে নেমে তাঁরা প্রণাম করে ফুল ভাসিয়ে দেন।

নদীতে ফুল ভাসাতে আসা চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের তরুণীরা বলেন, এই ‘ফুল বিজু’র মাধ্যমে গঙ্গাদেবীর মঙ্গল কামনায় ও পুরানো বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে স্বাগত ও সর্বস্তরের মানুষের বিজুর শুভেচ্ছা জানান। সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকে। এ দিনটা আমাদের জন্য খুবই খুশির দিন।

নদীতে ফুল ভাসাতে আসা উজ্জল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানতে ও পুরোনো বছরকে বিদায় জানতে নদীর ঘাটে ফুল দিতে এসেছি। বিজু উৎসবের দিনে ফুল দিয়ে ঘর সাজানো হয়। মূল বিজুর দিনে ঘরে ঘরে বিভিন্ন ধরনের খাবার আয়োজন করা হয়। প্রায় ৩০-৩২ ধরনের সবজি দিয়ে তৈরি করা হয় পাচন।

যুগ যুগ ধরে বর্ণাঢ্য পোশাক পরে নানা রকমের খাবার-দাবার, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে উৎসবটি পালন করে থাকেন আদিবাসীরা।

এই উৎসবটি পাহাড়ে একেক জনগোষ্ঠীর কাছে আলাদা আলাদা নামে পরিচিত। যেমন- বিজু, বিহু, বিষু, বৈসু, চাংক্রান ও সাংগ্রাইং।