Dhaka , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে নিহত-১।

print news

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে কেএনএফের এক সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আজ (১২জুন) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।

নিহত ব্যক্তি রুমা উপজেলার ০১নং পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারাং পাড়ার লাল মিন সন বমের ছেলে লাল থিয়াং বম (৩০)।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত ১০/০৬/২০২৪ খ্রিঃ রুমা উপজেলায় ১নং পাইন্দু ইউনিয়ননে খামতাম পাড়া ও চান্দা পাড়ার মাঝামাঝি জায়গায় সেনাবাহিনী ও কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে জানতে পারি একজন কুকি-চিন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য নিহত হয়েছে। আজ সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী (ক্রাইম এন্ড এডমিন) বলেন, যৌথ বাহিনীর  অভিযান এখনো চলমান আছে। এ অভিযানে গতকাল রুমা উপজেলায়  ০১নং পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারাং পাড়া থেকে ১জন কেএনএফ সদস্য মরদেহ উদ্ধার করে রুমা থানা পুলিশ। নিহতের লাশ আজ সকালে সুরতহালের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহটি এখন মর্গে রাখা আছে।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্রলুট,মসজিদে হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা ২১টি মামলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে এই পর্যন্ত প্রায় ৯০জন বম সম্প্রদায়ের শিশুসহ নারী ও পুরুষকে কেএনএফ সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রত্যকেকে ২-৪দিন করে রিমান্ড সম্পন্ন করা হয়েছে।

বান্দরবান কারাগার সূত্রে জানা যায়, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় বান্দরবান কারাগারে বন্দী কেএনএফ সদস্যের মধ্যে  ৩১ সদস্যকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বান্দরবান কারাগারে জায়গা সংকট  হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে কেএনএফের ১৬ জন পুরূষ  ও ১৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন।

রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতিসহ অস্ত্র লুটের  ঘটনার পর  যৌথ বাহিনীর অভিযানে গেল ১৯ মে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় তিনজন, গত ৭ মে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় একজন, ২৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নে বাকলাই পাড়ায় দু’জন, ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় একজন, ২৩ মে বান্দরবান সদর উপজেলার সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেথানি পাড়ার বাসিন্দা জারথাং বমের ছেলে ভান থাং পুই বম (১৪)। একই ওয়ার্ডের শ্যারন পাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নৌ বম (২২)।

রুমা ও থানচিতে ঘটে যাওয়া ব্যাংক ডাকাতির ৩৬ঘন্টার মাথায় র‍্যাবের অভিযানে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র দুই মাসেও উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধারের জন্য জেলার রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ি এই তিন উপজেলায় যৌথবাহিনির অভিযান চলমান রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে নিহত-১।

প্রকাশিত: ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
print news

বান্দরবান প্রতিনিধি:

বান্দরবানে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর চলমান অভিযানে কেএনএফের এক সদস্য নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আজ (১২জুন) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান পুলিশ।

নিহত ব্যক্তি রুমা উপজেলার ০১নং পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারাং পাড়ার লাল মিন সন বমের ছেলে লাল থিয়াং বম (৩০)।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, গত ১০/০৬/২০২৪ খ্রিঃ রুমা উপজেলায় ১নং পাইন্দু ইউনিয়ননে খামতাম পাড়া ও চান্দা পাড়ার মাঝামাঝি জায়গায় সেনাবাহিনী ও কেএনএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে জানতে পারি একজন কুকি-চিন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য নিহত হয়েছে। আজ সকালে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী (ক্রাইম এন্ড এডমিন) বলেন, যৌথ বাহিনীর  অভিযান এখনো চলমান আছে। এ অভিযানে গতকাল রুমা উপজেলায়  ০১নং পাইন্দু ইউনিয়নের জুরভারাং পাড়া থেকে ১জন কেএনএফ সদস্য মরদেহ উদ্ধার করে রুমা থানা পুলিশ। নিহতের লাশ আজ সকালে সুরতহালের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহটি এখন মর্গে রাখা আছে।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্রলুট,মসজিদে হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় দায়ের করা ২১টি মামলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে এই পর্যন্ত প্রায় ৯০জন বম সম্প্রদায়ের শিশুসহ নারী ও পুরুষকে কেএনএফ সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। প্রত্যকেকে ২-৪দিন করে রিমান্ড সম্পন্ন করা হয়েছে।

বান্দরবান কারাগার সূত্রে জানা যায়, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় বান্দরবান কারাগারে বন্দী কেএনএফ সদস্যের মধ্যে  ৩১ সদস্যকে চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। বান্দরবান কারাগারে জায়গা সংকট  হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে কেএনএফের ১৬ জন পুরূষ  ও ১৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন।

রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতিসহ অস্ত্র লুটের  ঘটনার পর  যৌথ বাহিনীর অভিযানে গেল ১৯ মে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তবর্তী ডেবাছড়া এলাকায় তিনজন, গত ৭ মে রুমা উপজেলার দুর্গম দার্জিলিং পাড়ায় একজন, ২৮ এপ্রিল রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নে বাকলাই পাড়ায় দু’জন, ২২ এপ্রিল রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ায় একজন, ২৩ মে বান্দরবান সদর উপজেলার সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বেথানি পাড়ার বাসিন্দা জারথাং বমের ছেলে ভান থাং পুই বম (১৪)। একই ওয়ার্ডের শ্যারন পাড়ার বাসিন্দা পেন খুপ বমের ছেলে লাল নৌ বম (২২)।

রুমা ও থানচিতে ঘটে যাওয়া ব্যাংক ডাকাতির ৩৬ঘন্টার মাথায় র‍্যাবের অভিযানে ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র দুই মাসেও উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধারের জন্য জেলার রুমা-থানচি ও রোয়াংছড়ি এই তিন উপজেলায় যৌথবাহিনির অভিযান চলমান রয়েছে।