Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন ও জায়গা জবর দখলে থানায় অভিযোগ।

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শৈহ্লাচিং চৌধুরী প্রকাশ বাশৈচিং চৌধুরী বিরুদ্ধে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন ও জায়গা দখলের অভিযোগ পাওযা গেছে। এমনকি অর্ধ নির্মিত রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনটির দেয়ালে লেখা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাম মুছে ফেলে অদৃশ্য প্রভাব খাটিয়ে জোড়পূর্বকভাবে দখল করে নিজ নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

তিনি একাধারে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, ৩৭২ নং মাইতিং মৌজা হেডম্যান ও থানচি উপজেলা বলীবাজার এলাকার বাজার চৌধুরী বলেও জানা গেছে।

এই ঘটনার অভিযোগ এনে বাশৈচিং চৌধুরী, তার স্ত্রী মেথুই চিং মারমা, ছেলে শৈসাইচিং মারমা, মেয়ে শৈমে মারমা, ছেলে লেনিং মারমাসহ ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বান্দরবান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মংসানু মারমা ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চাকমা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি মংসানু মারমা বলেন, ২০১১ সালে ইউনিটির নামে জায়গাটি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে ওই জায়গায় ২০১৬ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ধাপে ধাপে করার কারণে বর্তমানে ভবনটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু কোন সাড়াশব্দ না দিয়ে হঠাৎ করে ওই অর্ধনির্মিত ভবন দখল নেয়ার পায়তারা করেন আওয়ামী লীগের নেতা শৈহ্লাচিং চৌধুরী প্রকাশ বাশৈচিং চৌধুরীর পরিবার।

তিনি আরো জানান, বাশৈচিংদের জায়গার সাথে ভবনের জায়গায় কাগজের কোন মিল নাই। কাগজপত্র সবকিছু আলাদা। এর আগেও তিনি বহুবার দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।বাঁধা দিতে গেলে আমাকেসহ উপস্থিত ইউনিটির সদস্যদের প্রাণনাশসহ অকথ্য ভাষায় অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। একইসঙ্গে পুনরায় বাধা দিতে আসলে নারীদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করারও হুমকি দেন বাশৈচিং। তার এই বেআইনী ভাবে দখল করার কাজে কোন অদৃশ্য প্রভাব বা শক্তি থাকতে পারে। কারণ শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাশৈচিং কখনো কোন সময় জায়গাটি তার বলে দাবি করতে আসে নাই। তাই আইনের আশ্রয় নিয়ে বাশৈচিংসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

মামলার এজাহার সূত্র মতে জানা যায়, গত আগস্ট মাসের ৯ তারিখ বিকাল তিনটায় বাশৈচিং চৌধুরীসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী এনে ২শতক নালিশী জমি দখল করা চেষ্টা করে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে বাঁধা দিলে প্রাণ নাশের  হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জমি দখল নিয়ে দু-পক্ষে যেকোন সময় মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েছি।

আদালত সুত্র মতে, দখলকারী বাশৈচিং চৌধুরী বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা প্রসেডিং মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হয়ে প্রকৃত দখল সম্পর্কে লিখিত বিবৃতি  ও কারণ দর্শানো আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরেজমিনে তদন্ত করে স্ক্যাচম্যাপ সহ সহকারী ভুমি কমিশনারকে প্রতিবেদন দাখিল করা নির্দেশ প্রদান করে আদালত।

রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন দখলকারী বাশৈচিং সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি জন্য ফোন দিয়েছেন সেটা বলেন আর ঘুরেফিরে এত কিছু বলা লাগবে না। যা হবে আদালতে দেখা হবে।  এর আগে কেন জায়গা দখল করেননি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, দখলের বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আদালতে দাখিল করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

ডা: স্টিফেন চৌধুরীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের শ্রদ্ধা

বান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন ও জায়গা জবর দখলে থানায় অভিযোগ।

প্রকাশিত: ০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য শৈহ্লাচিং চৌধুরী প্রকাশ বাশৈচিং চৌধুরী বিরুদ্ধে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন ও জায়গা দখলের অভিযোগ পাওযা গেছে। এমনকি অর্ধ নির্মিত রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনটির দেয়ালে লেখা রিপোর্টার্স ইউনিটির নাম মুছে ফেলে অদৃশ্য প্রভাব খাটিয়ে জোড়পূর্বকভাবে দখল করে নিজ নামে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়েছে বলে অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

তিনি একাধারে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, ৩৭২ নং মাইতিং মৌজা হেডম্যান ও থানচি উপজেলা বলীবাজার এলাকার বাজার চৌধুরী বলেও জানা গেছে।

এই ঘটনার অভিযোগ এনে বাশৈচিং চৌধুরী, তার স্ত্রী মেথুই চিং মারমা, ছেলে শৈসাইচিং মারমা, মেয়ে শৈমে মারমা, ছেলে লেনিং মারমাসহ ১০ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বান্দরবান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মংসানু মারমা ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চাকমা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি মংসানু মারমা বলেন, ২০১১ সালে ইউনিটির নামে জায়গাটি ক্রয় করা হয়। পরবর্তীতে ওই জায়গায় ২০১৬ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ধাপে ধাপে করার কারণে বর্তমানে ভবনটি অর্ধনির্মিত অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু কোন সাড়াশব্দ না দিয়ে হঠাৎ করে ওই অর্ধনির্মিত ভবন দখল নেয়ার পায়তারা করেন আওয়ামী লীগের নেতা শৈহ্লাচিং চৌধুরী প্রকাশ বাশৈচিং চৌধুরীর পরিবার।

তিনি আরো জানান, বাশৈচিংদের জায়গার সাথে ভবনের জায়গায় কাগজের কোন মিল নাই। কাগজপত্র সবকিছু আলাদা। এর আগেও তিনি বহুবার দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।বাঁধা দিতে গেলে আমাকেসহ উপস্থিত ইউনিটির সদস্যদের প্রাণনাশসহ অকথ্য ভাষায় অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন। একইসঙ্গে পুনরায় বাধা দিতে আসলে নারীদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করারও হুমকি দেন বাশৈচিং। তার এই বেআইনী ভাবে দখল করার কাজে কোন অদৃশ্য প্রভাব বা শক্তি থাকতে পারে। কারণ শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাশৈচিং কখনো কোন সময় জায়গাটি তার বলে দাবি করতে আসে নাই। তাই আইনের আশ্রয় নিয়ে বাশৈচিংসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।

মামলার এজাহার সূত্র মতে জানা যায়, গত আগস্ট মাসের ৯ তারিখ বিকাল তিনটায় বাশৈচিং চৌধুরীসহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী এনে ২শতক নালিশী জমি দখল করা চেষ্টা করে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে বাঁধা দিলে প্রাণ নাশের  হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জমি দখল নিয়ে দু-পক্ষে যেকোন সময় মারাত্মক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েছি।

আদালত সুত্র মতে, দখলকারী বাশৈচিং চৌধুরী বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৫ ধারা প্রসেডিং মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে হাজির হয়ে প্রকৃত দখল সম্পর্কে লিখিত বিবৃতি  ও কারণ দর্শানো আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরেজমিনে তদন্ত করে স্ক্যাচম্যাপ সহ সহকারী ভুমি কমিশনারকে প্রতিবেদন দাখিল করা নির্দেশ প্রদান করে আদালত।

রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন দখলকারী বাশৈচিং সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কি জন্য ফোন দিয়েছেন সেটা বলেন আর ঘুরেফিরে এত কিছু বলা লাগবে না। যা হবে আদালতে দেখা হবে।  এর আগে কেন জায়গা দখল করেননি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, দখলের বিষয়ে আদালত থেকে তদন্ত করার জন্য প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে আদালতে দাখিল করা হবে।