নিজস্ব প্রতিনিধি :
বান্দরবানে মারমা, চাকমা, তঞ্চগ্যা, ম্রো, ত্রিপুরা, খুমী, বম ও বাঙ্গালীসহ ১২টি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ সম্প্রীতির বন্ধনে মিছিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বান্দরবানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজী, সংঘাত ও অস্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে এই সম্প্রীতির সমাবেশ করা হয়েছে বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) বেলা ২ টায় রাজার মাঠ থেকে মিছিল শুরু হয়ে উজানী পাড়া-মধ্যম পাড়া ও বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে প্রেসক্লাব চত্বরে একটি পথ নাটক মঞ্চায়ন করেন বান্দরবানের স্থানীয় সাংস্কৃতিক দল। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বান্দরবান জেলা পরিষদ।
বক্তারা বলেন, সম্প্রীতিতে অনন্য ছিল বান্দরবান। এখানে অন্য জেলায় ন্যায় ১২টি জাতি এখানকার সবাই সহনশীল। একে অপরের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলে সহবস্থানে বসবাস করে আসছিল। কয়েকবছর ধরে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে এই বান্দরবানকে অশান্তি পরিবেশ তৈরি করা পায়তারা চলছে। যে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সম্প্রীতি বিনষ্ট করা ও স্বার্থান্বেষী মহল যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর ঘটাতে না পারে সেদিকে সোচ্চার থাকতে হবে। পারস্পরিক সমঝোতার মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে, এমন প্রত্যাশার কথা বলেন সব সম্প্রদায়ের নেতারা।
হোটেল রিসোর্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বক্তব্যে বলেন, এ জেলায় ১২টি জাতি সবাই সহনশীল। একে অপরের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বসবাস করে আসছিল। কয়েকবছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীরা বা বিপদগামী কিছু দল বান্দরবানকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে। ফলে বান্দরবানের পর্যটনশিল্পে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি পাহাড়ি-বাঙ্গালীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বান্দরবানে পর্যটনখাদে প্রতিদিন এক কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে শত কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। সরকার প্রায় ৮৫ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে বলে দাবি করেন এই বক্তা।
সম্প্রীতির বন্ধনে মিছিল শেষে সভাপতি বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সভাপতি তনয়া ম্রো, হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিটিস জন ত্রিপুরা, বান্দরবান সদর বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লাল মুন থাং বম, হেডম্যান এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক উনিংহ্লা মার্মা, বান্দরবান বৌদ্ধ অনাথলয়ের অধ্যাক্ষ সত্যজিত ভান্তে, এ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মার্মা, ছাত্র প্রতিনিধি বিটন তঞ্চঙ্গ্যা ও সৈনাং খুমীসহ এই সমাবেশে পাহাড়ি বাঙালি, বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিসহ সামাজিক ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।