Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজিবি ক্যাম্পে ৯৫ জন বিজিপি’র আশ্রয়

print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে চলমান সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।  বিজিবি তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে।
আজ (০৫.০২.২০২৪ইং) তারিখ সকাল ৮টায় তথ্যটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বিজিবির গণ সংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ডেকুবুনিয়া ক্যাম্পে রাতভর ব্যাপক গুলি বিনিময় ও বোমা বর্ষণ ঘটনায় এই ৯৫ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত পথ ব্যবহার করে আরো কয়েক শত  বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সুত্রে।
এদিকে চলমান সংঘর্ষে তুমব্রু সীমান্তের কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া, বাজার পাড়া,সহ তিনটি গ্রাম জনমানব শূন্য।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান, গ্রামবাসীরা ঘরের কোন জিনিসপত্র তারা নিয়ে আসতে পারেনি। রাতভর তীব্র গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণে জনমনে আতঙ্কের কারনে যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ভাজাবুনিয়া সীমান্ত পয়েন্টের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। জিরো লাইনে  গুলির খোসা ও মর্টার শেল পড়ে আছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, চলমান অস্থিরতায় ঘুমধুম সীমান্তের ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে  বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে বসবাসকারীদের  নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। র্সীমান্তবর্তী গ্রামের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ আতংকিত মানুষ তাদের নিজ নিজ আত্বীয় স্বজনের বাসায় চলে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা গোটা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। কক্সবাজার ও বান্দরবান পুলিশকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

বিলাইছড়িতে দুর্গম এলাকায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে হিল ফ্লাওয়ার

বিজিবি ক্যাম্পে ৯৫ জন বিজিপি’র আশ্রয়

প্রকাশিত: ০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
print news

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে চলমান সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।  বিজিবি তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে।
আজ (০৫.০২.২০২৪ইং) তারিখ সকাল ৮টায় তথ্যটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন বিজিবির গণ সংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ডেকুবুনিয়া ক্যাম্পে রাতভর ব্যাপক গুলি বিনিময় ও বোমা বর্ষণ ঘটনায় এই ৯৫ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
এছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত পথ ব্যবহার করে আরো কয়েক শত  বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সুত্রে।
এদিকে চলমান সংঘর্ষে তুমব্রু সীমান্তের কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া, বাজার পাড়া,সহ তিনটি গ্রাম জনমানব শূন্য।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টো জানান, গ্রামবাসীরা ঘরের কোন জিনিসপত্র তারা নিয়ে আসতে পারেনি। রাতভর তীব্র গোলাগুলি ও গোলা বর্ষণে জনমনে আতঙ্কের কারনে যে যার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ভাজাবুনিয়া সীমান্ত পয়েন্টের বাসিন্দারা এখন চরম আতঙ্কে রয়েছে। জিরো লাইনে  গুলির খোসা ও মর্টার শেল পড়ে আছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, চলমান অস্থিরতায় ঘুমধুম সীমান্তের ছয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে  বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও সীমান্তে বসবাসকারীদের  নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। র্সীমান্তবর্তী গ্রামের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ আতংকিত মানুষ তাদের নিজ নিজ আত্বীয় স্বজনের বাসায় চলে গিয়েছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় মিয়ানমারের সঙ্গে থাকা গোটা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। কক্সবাজার ও বান্দরবান পুলিশকেও সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।