নিজস্ব প্রতিনিধি, খাগড়াছড়িঃ
বৈসুকে ঘিরে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডে ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে দলদলী আশা হফনু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিরন জয় ত্রিপুরা।
তৈকাথাং ও দলদলী ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ সোসাইটির উদ্যোগে ‘সুকৈ, ওয়াকরাই, চু (লাটিম), হাড়ি ভাঙ্গা, মোড়ক লড়াই, শিশুদের বিস্কুট’ খেলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রয়েছে ত্রিপুরা (ককবরক) ভাষায় গান, কবিতা ও নৃত্য প্রতিযোগিতা।
তৈকাথাং ও দলদলী ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ সোসাইটির সভাপতি দিপেন বিকাশ ত্রিপুরা ও সাধারণ সম্পাদক কনক বরন ত্রিপুরা জানান, নতুন প্রজম্ম যাতে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা, সংস্কৃতি জানতে পারে মূলত সেজন্য এ খেলাধুলার আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রকাজয় ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের মাটিরাঙ্গা আঞ্চলিক শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা যুব কল্যাণ সংসদের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি প্রীতিময় ত্রিপুরা, আশা হফনুং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুষ্পলিকা ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত)দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, স্থানীয় ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার শান্তি রঞ্জন ত্রিপুরা, হয়াচন্দ্র কার্বারী পাড়ার কার্বারী বারাচন্দ্র ত্রিপুরা, হেতেন্দ্র কার্বারী পাড়ার কার্বারী হেতেন্দ্র ত্রিপুরা, রামানন্দ হেডম্যান পাড়ার কার্বারী বেনু ভূষন ত্রিপুরা, স্থানীয় যুবনেতা পলাশ ত্রিপুরা। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় অনুষ্ঠান সম্পন্ন কমিটির আহবায়ক কনক বরন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ছাত্রনেতা ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খনি রঞ্জন ত্রিপুরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা ১৯৯৭সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করার মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সহ ব্যাপক উন্নয়ন করে চলেছে, তা চলমান। জননেত্রী শেখ হাসিনা চাই না কেউ না খেয়ে থাকুক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজকে নানা ধরনের উন্নয়নমুখী কার্যক্রম, কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা, উদ্যোক্তা হওয়া সহ কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহনের আহবান জানান। এলাকাবাসীর বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে সংহতি জানিয়ে যথার্থ দাবি উল্লেখ করে তা দ্রুত উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস দেন।
শেষে খেলাধূলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিরা। পরে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
এর আগে সকালে এলাকায় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা কর্তৃক বিভিন্ন নির্মাণাধীন উন্নয়ন কার্যক্রম প্রকল্প পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।