আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ
ভারত-পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি এসব হামলার পর উত্তর ভারতের বহু বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের চারটি বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার স্থানীয়দের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মিরে স্কুল-কলেজ।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও আজাদ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জায়গায় ভারতের সামরিক হামলায় অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪০ জন। ভারতের সামরিক হামলার জবাবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। এতে নিহত হয়েছেন ভারতীয় তিন বেসামরিক নাগরিক।
বুধবার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানান। এছাড়া কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটকের দাবিও করেছেন তিনি।
খাজা আসিফ বলেন, যদি ভারত আগ্রাসী মনোভাব বাদ দেয় তাহলে তারা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কিন্তু ভারত যদি আগ্রাসী কিছু করে তাহলে তারা অবশ্যই জবাব দেবেন। যদি এসব শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়, আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে কথা বলব। আমরা চাই না এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক। কিন্তু ভারত থেকে যদি শত্রুতাপূর্ণ কিছু আসে, তাহলে আমাদের জবাব দিতে বাধ্য হবে।”
বুধবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করে বলেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমানগুলো নিরাপদে ফিরেছে।