রিপন ওঝা, মহালছড়িঃ
সারাদেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ির সকল ইউনিয়নের প্রায় এলাকায় ২৬মে ২০২৪ ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” এর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে। সমাধানের চেষ্টায় মহালছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সরবরাহ কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” এ ব্যাপক বজ্রপাত হয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক পুকুর চাষীর বাধঁ ভেঙ্গে মাছ ও পোনা চলে গেছে। কিছু কিছু অংশে পাহাড় ধ্বসে বড় বড় গাছ উপড়ে গেছে। গাছের ডালপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিসমিল্লাহ স্ মিল ও কুমিল্লা টিলাসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধা হতে বঞ্চিত এলাকাবাসী।
এদিকে, কিছু কিছু এলাকায় বৈদ্যুতিক খুঁটি জীবন্ত গাছ ও মরা গাছের খুঁটি হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ মাইসছড়ির পশ্চিম ক্যায়াং ঘাটের জনসাধারনের্ সদর ইউনিয়নের দূর্পয্যানাল এলাকায় খোলা তার জীবন্ত গাছে থাকায় অতি ঝুঁকিতে এলাকার জনগণ। মোহাম্মদপুর খুঁটিবিহীন তার ঝুলে থাকায় পথচারীদের যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। বিসমিল্লাহ ব্রীকফিল্ড মালিক মোঃ আক্তার সাহেব ব্রীকফিল্ড চালানোর উদ্দেশ্যে পূর্বে কুমিল্লা টিলার নিকট মহালছড়ি থানা বা মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ হতে মহালছড়ি সরকারি কলেজ মূল সড়কের পাশে কুমিল্লা টিলা যাওয়ার ইটসলিং এর উভয়পাশে ২টি পুকুর খনন করছে। পুকুরের কারণে ২৬মে ২০২৪ ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” এর কারণে পুকুরে পাশে থাকা রেইনট্রি গাছটি বাতাসের অতিরিক্ত বেগের কারনে গোড়া থেকে উপড়ে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারের উপরে পড়ায় ১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি পুকুরের পানিতে এবং সচল ট্রান্সফরমারসহ ২টি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়ে যায়। বৈদ্যুতিক লাইনের খোলা তার ছিড়ে যাওয়ায় কুমিল্লা টিলার জনগণ সপ্তাহখানেক সময় ধরে বিদ্যুৎহীন দিনযাপন করছে।
তবে এ বিষয়ে মহালছড়ি আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সরবরাহ কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আহসান উল্লাহ জানান, ঘুর্ণিঝড় “রেমাল” এ ক্ষতিগ্রস্থের মধ্যে প্রায় এলাকার ছোট সমস্যাগুলো ইতিমধ্যেই জনবল দিয়ে সমাধান করেছি। কুমিল্লা টিলার সমস্যাটি একটু বড় হওয়ায় পুকুরের পাশ থেকে মূল সড়কের খুঁটির গোড়া হতে মাটি সড়ে গিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পুরাতন ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। বৈদ্যুতিক তার নষ্ট হয়েছে, বৈদ্যুতিক ৪টি খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনবলের অভাবে কাজ করতে দেরি হচ্ছে। তবুও প্রয়োজনীয় জনবল জেলা হতে এনে নতুন ট্রান্সফরমার সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কুমিল্লা টিলার নিকট সমস্যা সমাধানের চেষ্টায় রয়েছি বলে জানান আবাসিক প্রকৌশলী।