Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহালছড়িতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযুক্ত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ

  • প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: ০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৮৩৬ বার পড়া হয়েছে
print news

 

রিপন ওঝা, মহালছড়িঃ

মহালছড়ি উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি যৌথখামার মাঝামাঝি স্থানে রাইসোনা চাকমা, রায়সোনা (৫৬) কে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু (২৫) ও মোঃ টুলু মিয়া (২২) কে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে মহালছড়ি থানা পুলিশ।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.০০ঘটিকায় চোংড়াছড়ি এলাকা থেকে আসামীদেরকে আটক করা হয়। গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী (৫৯) ও রাংপ্রু মারমা (৫৫), মিস্যেং মারমা প্রত্যেক্ষ স্বাক্ষীতে এবং ২৫১ মৌজার হেডম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরীর উপস্থিতিতে মামলা দায়ের করা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৪ দুপুরে মহালছড়ি ১নং সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের যৌথখামার চৌংড়াছড়ি মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী (৫৯) ঘটনাটি জানিয়ে বলেন, আমার স্ত্রী গত ৯ফেব্রুয়ারি দুপুর ২.০০ঘটিকার সময়ে আমি বাড়িতে কাজ শেষ করে ছড়া থেকে পানি আনতে ও পাতিল ধুতে ছড়ায় যায়। কিছুক্ষণ পর আমি বাড়ি থেকে কিছু চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পাই। কিন্তু আমি তেমন আমলে নিই নি। এর ৫/৬ মিনিট পর আমার স্ত্রী সারা গায়ে কাদা মাখা অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় সে আমাকে বলতে থাকে এতক্ষণ ধরে আমি চিৎকার করছি, শোনো নি? তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কেন কি হয়েছে? তারপর সে বলল দু’জন অচেনা মানুষ আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। অনেক হাতাহাতি করে পালিয়ে এসেছি। ঘটনা শুনে সাথে সাথে আমি ছড়ার দিকে যাই। এ সময় আমার গাছ বাগানে একজনকে দেখতে পাই। তাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করতেই সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আমি গ্রামের লোকজন ডেকে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু পাইনি। তবে ধর্ষণ চেষ্টাকারী একজনের একটি বাটন মোবা্ইল ফেলে যায়, সে মোবাইলের নাম্বার হলো- ০১৬১৭৭৪৮৪০৮ আমার নিকট রয়েছে। মামলা দায়ের করার পরে থানায় মোবাইল ও সিম জমা দেই। মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তার নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু (২৫), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, মাতাঃ মাজেদা বেগম। সে মাইসছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাটিংটিলার বাসিন্দা। মোঃ টুলু মিয়া(২২), পিতাঃ মৃত মেছের আলি, মাতাঃ মৃত ময়ফুল বেগম। সে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

উক্ত মামলাটি ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ৯(৪) (খ) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ প্যানেল কোডে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-০১।

উক্ত মামলার আসামী গতকাল ও আজকে বিশেষ অভিযানের ফলে আজ চোংড়াছড়ি হতে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাই আজ আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে জেলহাজতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন।

 

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

ডা: স্টিফেন চৌধুরীর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের শ্রদ্ধা

মহালছড়িতে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযুক্ত আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ

প্রকাশিত: ০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
print news

 

রিপন ওঝা, মহালছড়িঃ

মহালছড়ি উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি যৌথখামার মাঝামাঝি স্থানে রাইসোনা চাকমা, রায়সোনা (৫৬) কে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু (২৫) ও মোঃ টুলু মিয়া (২২) কে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে মহালছড়ি থানা পুলিশ।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.০০ঘটিকায় চোংড়াছড়ি এলাকা থেকে আসামীদেরকে আটক করা হয়। গতকাল ১০ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী (৫৯) ও রাংপ্রু মারমা (৫৫), মিস্যেং মারমা প্রত্যেক্ষ স্বাক্ষীতে এবং ২৫১ মৌজার হেডম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরীর উপস্থিতিতে মামলা দায়ের করা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৪ দুপুরে মহালছড়ি ১নং সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের যৌথখামার চৌংড়াছড়ি মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী অংসাজাই মারমা কার্বারী (৫৯) ঘটনাটি জানিয়ে বলেন, আমার স্ত্রী গত ৯ফেব্রুয়ারি দুপুর ২.০০ঘটিকার সময়ে আমি বাড়িতে কাজ শেষ করে ছড়া থেকে পানি আনতে ও পাতিল ধুতে ছড়ায় যায়। কিছুক্ষণ পর আমি বাড়ি থেকে কিছু চিৎকার-চেচামেচি শুনতে পাই। কিন্তু আমি তেমন আমলে নিই নি। এর ৫/৬ মিনিট পর আমার স্ত্রী সারা গায়ে কাদা মাখা অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে। এ সময় সে আমাকে বলতে থাকে এতক্ষণ ধরে আমি চিৎকার করছি, শোনো নি? তখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কেন কি হয়েছে? তারপর সে বলল দু’জন অচেনা মানুষ আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। অনেক হাতাহাতি করে পালিয়ে এসেছি। ঘটনা শুনে সাথে সাথে আমি ছড়ার দিকে যাই। এ সময় আমার গাছ বাগানে একজনকে দেখতে পাই। তাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করতেই সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আমি গ্রামের লোকজন ডেকে নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করি, কিন্তু পাইনি। তবে ধর্ষণ চেষ্টাকারী একজনের একটি বাটন মোবা্ইল ফেলে যায়, সে মোবাইলের নাম্বার হলো- ০১৬১৭৭৪৮৪০৮ আমার নিকট রয়েছে। মামলা দায়ের করার পরে থানায় মোবাইল ও সিম জমা দেই। মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তার নাম মোঃ শাহাদাত হোসেন সাজু (২৫), পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, মাতাঃ মাজেদা বেগম। সে মাইসছড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কাটিংটিলার বাসিন্দা। মোঃ টুলু মিয়া(২২), পিতাঃ মৃত মেছের আলি, মাতাঃ মৃত ময়ফুল বেগম। সে মহালছড়ি সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চোংড়াছড়ি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।

উক্ত মামলাটি ৯(৪) (খ) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, ৯(৪) (খ) তৎসহ ৩২৩/৫০৬ প্যানেল কোডে মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং-০১।

উক্ত মামলার আসামী গতকাল ও আজকে বিশেষ অভিযানের ফলে আজ চোংড়াছড়ি হতে ধরতে সক্ষম হয়েছি। তাই আজ আইনানুগ কার্যক্রম সম্পন্ন করে জেলহাজতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন।