মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বন্ধ কর। ‘‘জনগনের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করবো না” এই শ্লোগানে ইউপিডিএফ দু’জন কর্মী হত্যার প্রতিবাদ ও বিপুলসহ চার ছাত্র-যুব হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রচারণা মিছিলটি মানিকছড়ি কলেজ ধর্মঘর এলাকা থেকে শুরু হয়ে মানিকছড়ি উপজেলা টাউন হল প্রদক্ষিন করে ধর্মঘরে এসে মিছিল ও সমাবেশ শেষ হয়।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মানিকছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অংসালা মারমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক প্রানঞ্জল চাকমা, পিসিপি মাটিরাঙা উপজেলা শাখা সভাপতি অনিমেষ চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন লক্ষীছড়ি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এলি চাকমা।
প্রাঞ্জল চাকমা বলেন, পাহাড়ে অধিকার আদায়ের জনতার সংগ্রামে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী, মূখোশ সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত নির্বিচারে হত্যা,খুন-গুম অপহরণ করে যাচ্ছে। সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ও পাহাড়ের চারিদিকে চলছে সেনা মদদপুষ্ট মুখোশ সন্ত্রাসীর কর্মকান্ড স্থানীয় প্রশাসনের কোন ব্যাবস্থা না থাকায় ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আরো প্রতিনিয়ত চাঁদা-বাজি সহ নানান সমাজ বিরোধী কাজ করে যাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে দমিয়ে রাখবার জন্য সরকার ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের হুমকি, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আগামীদিনের লড়াইয়ে ছাত্র সমাজকে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
অনিমেষ চাকমা বলেন, সরকার নিজের স্বার্থকে হাসিল করতে পাহাড়ে সেনাশাসন জারি রেখে পাহাড়ে দমন-পীড়ন চালাচ্ছে দীর্ঘ অনেক সময় ধরে, সেনাবাহিনীর লেলিয়ে দেয়া ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী, মূখোশ সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যাযজ্ঞ করছে পাহাড়ের ছাত্র নেতাদের। এই যাবতকালে মুখোশ সন্ত্রাসীদের কর্তৃক দিন-দুপুরে,রাতে-বিরাতে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হয়েছে অনেক নেতাকর্মী। পাহাড়ের আন্দোলনে ছাত্রদের কাছে সরকার ভীত হয়ে গোপনে সন্ত্রাসী সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যাদের দিয়ে পাহাড়ের নেতাদের চিন্তিত করে সুপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হচ্ছে। ঠ্যাঙারে বাহিনীর সন্ত্রাসীদের কর্তৃক বিপুল চাকমাসহ অনেক নিরীহ রাজনৈতিক নেতা হত্যার শিকার হয়েছে কিন্তু সেই খুনীদের বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার। পাহাড়ে সন্ত্রাসীরা একের পর এক বহির্ভূত খুন-গুম করে যাচ্ছে অপর দিকে স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আজ পর্যন্ত পাহাড়ের কোন হত্যা, অপহরণের জড়িত দোষীদের বিচার করতে পারেনি এই সরকার।
সাজেকে হত্যাকান্ডে ঘটনায় জড়িত খুনী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারপূর্বক সহ সাজার দাবি জানিয়েছেন।
সমাবেশে পরিশেষে সাজেকে দূর্বৃত্তদের কর্তৃক দুই ইউপিডিএফ কর্মী হত্যার দাবিতে ও পানছড়িতে বিপুল চাকমাসহ চার ছাত্র নেতাদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রæয়ারী খাগড়াছড়ি জেলা ব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট পালন করার আহবান জানান পিসিপি’র নেতৃবৃন্দরা।