উপ্ত চাকমা, ভ্রাম্যামাণ প্রতিনিধিঃ
বলছিলাম ক্যান্টন চাকমার কথা। বয়স ৩৫ ছুঁইছুঁই। নানিয়াচর ১নং সাবেক্ষং ইউনিয়নের মেজরপাড়া গ্রামে ক্যান্টন চাকমার বাড়ি। ছিমছাম গড়নের ক্যান্টন চাকমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। তিনি পূর্বে ছিলেন একজন সিএনজি চালক। সেই পেশায় বিভিন্ন ঝুঁকি এবং স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় তিনি পেশা হিসেবে কৃষিকে বেছে নেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালে মেজরপাড়া গ্রামে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি মিশ্র ফলজ বাগান।
প্রথমে অল্প কিছু ফলজ গাছ নিয়ে তার পথচলা। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি অফিস, উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন ও সহযোগীতায় তিনি গড়ে তুলেন এই ফলজ বাগান। বাগানের ঠিক মাঝেই তার বসতভিটা। বাড়ির চারিপাশে বিভিন্ন মৌসুমী ফলের গন্ধে মৌ মৌ করে। মোট ১৫ একর বিস্তৃত জায়গায় তিনি নিজ হাতে গড়ে তুলেছেন এই মিশ্র ফলজ বাগান।
ক্যান্টন চাকমার সে নিজ হাতে যত্নে গড়ে উঠা বাগানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির আম, লটকন, তেঁতুল, বেল, মাল্টা, কফি কমলা, পেঁপে, লেবু, কলা, সুপারি, নারিকেল, বল সুন্দরী সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল। ফলজ বাগানের পাশাপাশি তিনি ধান চাষ ও গরু লালন পালন করেন। সারাবছর তিনি বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল ও গরু বিক্রি করে থাকেন। তিনি প্রতি বছর ১৫-২০ লক্ষ টাকার ফলমূল বিক্রি করেন। ক্যান্টন চাকমা ও তার পরিবারের সদস্য ব্যাতীত প্রায় সময় তার বাগানে ৫-১০ জন অস্থায়ী কর্মী কাজ করেন। তিনি একাধারে মিশ্র ফলজ বাগান করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন।
এই ব্যাপারে সিএইচটি বার্তার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি উপ্ত চাকমার সঙ্গে ক্যান্টন চাকমার সাক্ষাতকারকালে বলেন, আমার এই সফলতার পেছনে নানিয়াচর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কমল চাকমার অবদান রয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে আমার চলার পথকে সুগম করতে সহযোগীতা করেছেন। তিনি বেকার বসে না থেকে নিজের কর্মসংস্থান নিজেকে তৈরী করে স্বাবলম্বী হতে উদ্যেক্তা হওয়ার পরামর্শ দেন। সেই সাথে বাগানের প্রসারের জন্য ও বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন।
মন্তব্য করুন