সিনিয়র প্রতিবেদক, রাঙামাটিঃ
আসন্ন রাঙামাটিতে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বুধবার থেকে বিভিন্ন ধরনের পশুর হাট জমে উঠেছে। পাহাড়ী গরু চাহিদা বেশী সমতলে। বুবধার (১২ জুন) দুপুর থেকে বড় বড় বোট করে প্রচুর পশু আসছে বিভিন্ন উপজেলা থেকে, পুরোদমে বৃহস্পতিবার আরো পর্যাপ্ত আসার মধ্য দিয়ে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রি হবে। কোরবানির বাজারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পশু ব্যবসায়িরা উপজেলা গুলো থেকে রাঙামাটি শহরে আনছে কোরবানির পশু। এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে রাঙ্গুনিয়াসহ চট্টগ্রাম শহরে। তবে এসব পশু আনতে ব্যবসায়িদের প্রতি পদে পদে দিতে হচ্ছে চাঁদা। চাঁদার শুরুটা হয় পাহাড় থেকে উপজেলা সবচেয়ে বড় গরু বাজার লংগদুর মাইনী বাজার, বরকলে কলাবুনিয়া ও জুরাছড়ি থেকে।
ওসমান ও ফোরকান দুই জন গরু ব্যবসায়ী সিএইচটি বার্তা এ প্রতিবেদকে জানায়, পাহাড়ী গরু চাহিদা বেশী তাই বরকল কলাবুনিয়া থেকে ১৫টি দুইজনে ত্রিশটি গরু রাঙ্গুনিয়া নিয়ে যাচ্ছি। প্র্রতিদিন কতগাড়ী কোরবানী পশু যাচ্ছে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৫০/৬০ গাড়ী যায়।
ট্রাক টার্মিনালের ইজারাদার ট্রাক মালিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, আমার পক্ষে -বিপক্ষে দলীয় ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে, আমি ট্রাক প্রতি ৩০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে সম্পুর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন। পৌরসভার টার্মিনালে থাকা পশু রাখার ব্যবস্থা করে একটি ফি নিচ্ছি মাত্র। আপনারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জেনে নেন। জেলা প্রশাসকের কার্য্যলয়ে ঈদুল আয্হার সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদার বলেছেন তিনদিন আগে রাঙামাটি থেকে গরু যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এবং রাঙামাটি আওয়ামীলীগের অফিসের সামনে ট্রাক চাঁদাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন। জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজম্মান মহসিন রানা বলেন, রাঙামাটিতে ২টি পশুর হাট দেয়া জরুরী। গরু হাসিল ঢাকা থেকে বেশী আদায় করা হয়। সাতদিন আগে গরু রাঙামাটি থেকে যেন চট্টগ্রামে না যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। ট্রামিনালে সামনে অবৈধ দোকান বন্ধ করতে হবে।
কলাবুনিয়া ও মাইনী বাজার থেকে হাসিলের নামে হাজারে ৫০ টাকা গত বছর ১ হাজার ৫শ টাকা, ইউনিয়ন, উপজেলা ভিতরে পার্টি অঘোষিত চাঁদা দিয়ে আসতে হয়। এরপর বোট ভাড়া করে রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের তীরে ভীড়লেই পৌরসভার নামে নেওয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। এবার ব্যবসায়িরা কোরবানি পশু নিতে যায় চট্টগ্রাম। এতে শুরু হয় ট্রাক ভাড়া করার সময় মালিক ইউনিয়নের চাঁদা থেকে। ট্রাক টার্মিনালে প্রতি গরুতে টোল দিয়ে রসিদ নিতে হয় প্রতি গরু হাসিলের নামে ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পৌরসভা টোল প্রতি গরু ১শ টাকা উপজেলা টোল ১৫০ টাকা ও জেলা পরিষদ ১শ ২০ টাকা টোল দিতে হয়। পথে পথে শ্রমিক ইউনিয়ন পুলিশের অঘোষিত চাঁদা তিনটি স্থানে আদায় করা হয় বলে অভিযোগ আছে।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়ীরা জানান, এর বাইরেও প্রকৃত ব্যবসায়িরা প্রতি সিজনে আঞ্চলিক দলের কাছ থেকে ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার টোকেন কাটতে হয়। এতো এতো চাঁদা আদায় টোল, ইজারা ও হাসিলের পর অঘোষিত বাহিনীর এসব হয়রানি স্বীকার হয়ে ব্যবসা করছি।