Dhaka , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙামাটিতে পর্যটকদের সরঞ্জাম ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ব্যাক্তি অটক

print news

 

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

চলমান পর্যটন মৌসুমে পার্বত্য রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। পাহাড়ের পর্যটন স্পটগুলোর দর্শনে আগত পর্যটকদের হয়রানীর মিশনে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীরা।

প্রতিনিয়তই পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানী করার পাশাপাশি মারধর করে মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি যুবকরা।

রোববার সকালেও রাঙামাটি শহরের অদূরে বহুল পরিচিত ফুরমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে তাদের মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। রোববার সাড়ে আটটায় টিবিমনপাড়া এলাকায় পর্যটকগণের কাছ থেকে মোবাইল এবং মানিব্যাগ কেড়ে নেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়।

ঘটনার আকস্¥িকতা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে ১৬ জন পর্যটক। পরবর্তীতে বিষয়টি রাঙামাটি সদর সেনাজোনে বিয়ষটি জানায় ভূক্তভোগিরা। এই ঘটনা জানার পরপরই ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে রাঙামাটি সদর সেনা জোন কর্তৃপক্ষ। এসময় অভিযান পরিচালনাকারি সেনাদল স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুসারে নিশ্চিত হয়, উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।  এর সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।

নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন কতিপয় ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পর্যটকগণ উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ হতে মন্টু চাকমা, পিতা: পাইঅংশী চাকমা নামে একজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তির বাড়ী কাউখালী উপজেলায়। মন্টু চাকমা পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সক্রিয় সন্ত্রাসী বলে নিশ্চিত হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এই ঘটনায় আটককৃত মন্টু চাকমাকে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কাউখালী থানা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গতঃ অতি সম্প্রতি রাঙামাটির ফুরোমুন পাহাড়ে পর্যটকরা না যাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজাতীয়দের বেশ কয়েকটি আইডি থেকে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। ফুরোমুনকে পর্যটন স্পট না বানানোর দাবিও জানানো হয়। এই ঘটনার পরপরই রোববার ফুরোমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় একদল পাহাড়ি যুবক।

লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

রাঙামাটিতে পর্যটকদের সরঞ্জাম ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ব্যাক্তি অটক

প্রকাশিত: ০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
print news

 

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ

চলমান পর্যটন মৌসুমে পার্বত্য রাঙামাটিতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ার সাথে সাথে আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। পাহাড়ের পর্যটন স্পটগুলোর দর্শনে আগত পর্যটকদের হয়রানীর মিশনে নেমেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীরা।

প্রতিনিয়তই পর্যটকদের নানাভাবে হয়রানী করার পাশাপাশি মারধর করে মোবাইল ফোনসহ গুরুত্বপূর্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি যুবকরা।

রোববার সকালেও রাঙামাটি শহরের অদূরে বহুল পরিচিত ফুরমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে তাদের মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। রোববার সাড়ে আটটায় টিবিমনপাড়া এলাকায় পর্যটকগণের কাছ থেকে মোবাইল এবং মানিব্যাগ কেড়ে নেয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়।

ঘটনার আকস্¥িকতা হতবিহ্বল হয়ে পড়ে ১৬ জন পর্যটক। পরবর্তীতে বিষয়টি রাঙামাটি সদর সেনাজোনে বিয়ষটি জানায় ভূক্তভোগিরা। এই ঘটনা জানার পরপরই ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে রাঙামাটি সদর সেনা জোন কর্তৃপক্ষ। এসময় অভিযান পরিচালনাকারি সেনাদল স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যানুসারে নিশ্চিত হয়, উক্ত ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।  এর সন্ত্রাসীরাই ঘটিয়েছে।

নিরাপত্তাবাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন কতিপয় ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পর্যটকগণ উক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ হতে মন্টু চাকমা, পিতা: পাইঅংশী চাকমা নামে একজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। আটককৃত ব্যক্তির বাড়ী কাউখালী উপজেলায়। মন্টু চাকমা পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সক্রিয় সন্ত্রাসী বলে নিশ্চিত হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। এই ঘটনায় আটককৃত মন্টু চাকমাকে কাউখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে কাউখালী থানা কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গতঃ অতি সম্প্রতি রাঙামাটির ফুরোমুন পাহাড়ে পর্যটকরা না যাওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজাতীয়দের বেশ কয়েকটি আইডি থেকে ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। ফুরোমুনকে পর্যটন স্পট না বানানোর দাবিও জানানো হয়। এই ঘটনার পরপরই রোববার ফুরোমুন পাহাড় দর্শনে গেলে ১৬ জন পর্যটকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয় স্থানীয় একদল পাহাড়ি যুবক।