প্রেস রিলিজ
রাঙামাটির বন্দুকভাঙা রেঞ্জে পাগলিছড়া (লংগদু উপজেলা) ও যমুচক এলাকায় ইউপিডিএফের পরিত্যক্ত প্রশিক্ষণ ক্যাম্প সন্ধান পাওয়ার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আজগুবি ও পার্টির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে মতলববাজী অপপ্রচার বলে অভিহিত করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি ২০২৫) সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা আইএসপিআর- এর উক্ত দাবিকে নাকচ করে বলেন, ‘ইউপিডিএফ একটি প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল’, যা গণতান্ত্রিক পন্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানেও ইউপিডিএফ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল ও সংগঠনের সাথে মিলে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে।
‘তাই আইএসপিআর যদি “প্রশিক্ষণ ক্যাম্প” বলতে সামরিক প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বুঝিয়ে থাকে, তাহলে তা আদৌ সত্য নয়; ইউপিডিএফ এ ধরনের কোন ক্যাম্প পরিচালনা করে না।’
তবে আইএসপিআর উল্লেখিত এলাকায় ইউপিডিএফের কোন সামরিক-বেসামরিক কিংবা সাংগঠনিক ক্যাম্প নেই জানিয়ে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের হামলার ভয়ে ইউপিডিএফের সমর্থক ও গ্রামবাসী দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে জঙ্গলে রাত কাটিয়ে থাকে। আইএসপিআরের উল্লেখ করা “ক্যাম্পগুলো” তাদের থাকার ঘর হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অংগ্য মারমা বলেন, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে কয়েক বছর ধরে ইউপিডিএফের ন্যায় সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হওয়ার প্রেক্ষাপটে আইএসপিআর এ ধরনের ইউপিডিএফ-বিরোধী অপপ্রচারণার নিগূঢ় উদ্দেশ্য হলো ইউপিডিএফের গায়ে ‘সশস্ত্র সন্ত্রাসীর’ তকমা লাগিয়ে দিয়ে তার বিরুদ্ধে সেনা অভিযান পরিচালনার জন্য মিথ্যা যুক্তি খাড়া করা।
কিন্তু শত অপপ্রচারণা ও দমনপীড়ন সত্ত্বেও ইউপিডিএফকে তার ন্যায় সঙ্গত গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যাবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।