সিনিয়র প্রতিনিধি, রাঙামাটিঃ
রাঙামাটি কাউখালীতে বিদ্যুৎ লাইনে দুইজন কর্মচারী আহত ঘটনায় নিরাপত্তা প্রহরীকে বেদড়ক পিটিয়েছে তিনজনে। মঙ্গলবার বিকালে কাউখালী বিদ্যুৎ অফিসে দুর্ঘনা ঘটে।
নিরাপত্তা প্রহরী মংলাসিং মারমা বলেন, উপসহকারী প্রকৌশলী লাহড়ী খান নির্দেশে পোয়াপাডার বিদ্যুৎ লাইন চালু করেছি, বেতবুনিয়া কাউখালী ৪টি পিডার রয়েছে। পোয়াপাড়া পিডার থেকে খবর পাই একজন লোক আহত হওয়ায় লাইন বন্ধ করতে বলায় বিচ্ছিন্ন করি। লাহড়ী খান নিদের্শে বিদ্যুৎ লাইন চালু করায় মালেক ও ইউছুফ আহত হয়। পরে মালেক এসে আমাকে অশ্লীন ভাষায় গালিগালাজ করে সাথে ইউছুফ যোগ দেয় সেই সময়ে লাহড়ী চা দোকানে চলে যায়। এইদিকে মালেক হাতে দা নিয়ে আমাকে গলাটিপে ধরে লোহাড় রড দিয়ে পিটিয়েছে। পরে লাহড়ী খান এসে আবারো পরিত্যক্ত গাড়ীর স্প্রীং দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদ ইমতিয়াজ শীতল ফোনে জানায়, সবাইকে রাঙামাটি অফিসে চলে আসতে।
মংলাসিং মার্মা বলেন, আমি খুবই অসুস্থ যেতে পারবো না। তিনি বলেন প্রয়োজনে এম্বুলেন্স নিয়ে আসতে হবে। সিএনজি রির্জাভ করে অফিসে এসে তক্তাবধায়ক প্রকৌশলী কাছে আসলে আমার কোন কথা শুনার আগে বলেন নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে যান তিনি বিস্তারিত শুনেছেন। পিডিবির আইনে লাইন চালু করার আমার দায়িত্বে পরে না।
এই ঘটনার বিষয়ে লাহড়ী খান বলেন, সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জমান (শীতল) আবাসিক প্রকৌশলী কাউখালী নিরাপত্তা প্রহরী মংলাসিং মারমাকে দায়িত্ব দিয়েছে।
এই বিষয়ে ওয়াহিদুজ্জমান শীতল বেতবুনিয়ার আবাসিক প্রকৌশলীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।