Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাঙ্গামাটিতে একেএম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তিতে সুধী সংলাপ ও সংবর্ধনা

print news

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যাঃ

 

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ হচ্ছেন পাহাড়ের জীবন্ত কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব। তার মাধ্যমে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় সংবাদ জগৎ আলোকিত হয়েছে। মকছুদ আহমেদের মতো গুণিজনের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রিন্ট মিডিয়ার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ পর্যন্ত পথ পরিক্রমায় তার এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫৫বছর পূর্তিতে প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা ও সুধী সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এসব কথা বলেন।

 

রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো: আনোয়ার আল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সদর জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি, জেলা এ এস ইউ কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ওয়াদুদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি তরুন ভট্টাচার্য্য, দৈনিক সংবাদের পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি সুনীল কান্তি দে, রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান আরো বলেন, এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা ছিল অত্যন্ত কঠিন, কারন তখন সাংবাদিকদের তেমন লজিস্টিক সাপোর্ট ছিলনা। সেই কঠিন সময়গুলো জয় করে অদ্যাবধি পর্যন্ত সাংবাদিক মকছুদ আহমেদ অত্যন্ত সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। পাহাড়ে তিনি সাংবাদিকতাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন সফল মানুষ।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা সদর জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। তিন পার্বত্য জেলার সাংবাদিকরা নিদারুন কষ্টের মধ্যে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর মতো এই ধরনের গুণি ব্যক্তিত্ব পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাকে দেখে আগামী প্রজন্ম নতুন করে অনুপ্রেরণা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

পাহাড়ে সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তি সুধী সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ে আমার সাংবাদিকতার ৫৫ বছর পূর্ণ হলো এটা অকল্পনীয়। সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমত না হলে ৫৫ বছর কোন দিনই পার হতো না। তাই আমি সাংবাদিক হওয়ার পেছনে যারা আমার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিয়েছেন তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, আমার সাংবাদিকতার জীবনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, হ্রদ পাহাড়সহ অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সেই সময় যোগাযোগ্য মাধ্যমে তেমন ছিলো না বলে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল যেতে হয়েছে। কখনোই কারো বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত হয় নাই। সত্য এবং সাহসিকতার সাথে এই পেশায় কাজ করে গেছি।

 

সুধী সংলাপে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জীবন্ত কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ। যিনি পাহাড়ে বহু সাংবাদিক গড়ার কারিগর ও সাংবাদিকতার বাতিঘর। যিনি পেশাগত জীবনের ৫৫টি বছর পাহাড়ের মানুষের হাসি-কান্না-আনন্দ, সুখ-দুঃখসহ এই পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন-অগ্রগতি-বঞ্চনার কথা তাঁর শাণিত কলমে জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি পাহাড়ের শান্তি প্রক্রিয়ায় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। এতে করে সাংবাদিক হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। সুধী সংলাপ শেষে এ কে এম মকছুদ আহমেদকে সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্ণ করায় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

রাঙ্গামাটিতে একেএম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তিতে সুধী সংলাপ ও সংবর্ধনা

প্রকাশিত: ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
print news

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যাঃ

 

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেছেন, সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ হচ্ছেন পাহাড়ের জীবন্ত কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব। তার মাধ্যমে রাঙ্গামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলায় সংবাদ জগৎ আলোকিত হয়েছে। মকছুদ আহমেদের মতো গুণিজনের কারনে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রিন্ট মিডিয়ার যুগ থেকে শুরু করে বর্তমানে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ পর্যন্ত পথ পরিক্রমায় তার এই অবদান ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

 

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদের সাংবাদিকতার ৫৫বছর পূর্তিতে প্রেস ক্লাব আয়োজিত সংবর্ধনা ও সুধী সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এসব কথা বলেন।

 

রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মো: আনোয়ার আল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সুধী সংলাপে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সদর জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি, জেলা এ এস ইউ কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, জেলা জামায়াতের সাধারন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ওয়াদুদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি তরুন ভট্টাচার্য্য, দৈনিক সংবাদের পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি সুনীল কান্তি দে, রাঙ্গামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা সহ জেলা উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান আরো বলেন, এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা ছিল অত্যন্ত কঠিন, কারন তখন সাংবাদিকদের তেমন লজিস্টিক সাপোর্ট ছিলনা। সেই কঠিন সময়গুলো জয় করে অদ্যাবধি পর্যন্ত সাংবাদিক মকছুদ আহমেদ অত্যন্ত সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন। পাহাড়ে তিনি সাংবাদিকতাসহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একজন সফল মানুষ।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা সদর জোনের জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী পিএসসি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। তিন পার্বত্য জেলার সাংবাদিকরা নিদারুন কষ্টের মধ্যে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর মতো এই ধরনের গুণি ব্যক্তিত্ব পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাকে দেখে আগামী প্রজন্ম নতুন করে অনুপ্রেরণা পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

 

পাহাড়ে সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্তি সুধী সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাহাড়ে আমার সাংবাদিকতার ৫৫ বছর পূর্ণ হলো এটা অকল্পনীয়। সবার দোয়া আর আল্লাহর অশেষ রহমত না হলে ৫৫ বছর কোন দিনই পার হতো না। তাই আমি সাংবাদিক হওয়ার পেছনে যারা আমার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিয়েছেন তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। তিনি আরো বলেন, আমার সাংবাদিকতার জীবনে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, হ্রদ পাহাড়সহ অনেক কিছু নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সেই সময় যোগাযোগ্য মাধ্যমে তেমন ছিলো না বলে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল যেতে হয়েছে। কখনোই কারো বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত হয় নাই। সত্য এবং সাহসিকতার সাথে এই পেশায় কাজ করে গেছি।

 

সুধী সংলাপে বক্তারা বলেন, পাহাড়ের জীবন্ত কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক এ কে এম মকছুদ আহমেদ। যিনি পাহাড়ে বহু সাংবাদিক গড়ার কারিগর ও সাংবাদিকতার বাতিঘর। যিনি পেশাগত জীবনের ৫৫টি বছর পাহাড়ের মানুষের হাসি-কান্না-আনন্দ, সুখ-দুঃখসহ এই পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়ন-অগ্রগতি-বঞ্চনার কথা তাঁর শাণিত কলমে জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি পাহাড়ের শান্তি প্রক্রিয়ায় তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন। এতে করে সাংবাদিক হিসেবে সারাদেশে পরিচিতি লাভ করেছে। সুধী সংলাপ শেষে এ কে এম মকছুদ আহমেদকে সাংবাদিকতায় ৫৫ বছর পূর্ণ করায় জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে সম্মাননা ও শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।