নিজস্ব প্রতিবেদক, লংগদুঃ
বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদুতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে বান্দরবানের ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সতর্ক অবস্থান নেয়া হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে লংগদুর বিভিন্ন ব্যাংক শাখা গুলোতে।
লংগদু উপজেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আবুল কাশেম জানান, ‘ঘটনার পর ব্যাংকে সকলকে নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ৫জনের স্থানে এসআই সহ ১১ জনের টিম দিয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।’
কৃষি ব্যাংক লংগদু উপজেলা শাখার ব্যবস্থাপক বিটন চাকমা বলেন, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে যেহেতু উপজেলা সদরে আছি এবং থানার সন্নিকটে তাই নিরাপত্তা নিয়ে তেমন শঙ্কা করছি না। কিন্তু সতর্ক আছি। নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সংকট আছে কিনা তা জানতে চেয়েছে।”
ডাচ্ বাংলা এজেন্ট ব্যাংক মাইনীমূখ শাখার ব্যবস্থাপক সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, ‘সকাল থেকে একাধিকবার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যরা ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। সরকারি ভাবেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ফলে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো সংকট নেই। এছাড়া ব্যাংকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে।
লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, ‘আমরা সবাইকে ম্যাসেজ দিয়েছি তারা যেন সতর্ক থাকে। পুলিশী নিরাপত্তারড় পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পুরো উপজেলায়। তাছাড়া যতটুকু নিরাপত্তা দরকার ততটুকু নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির প্রেক্ষাপটে লংগদুতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লংগদু জোন অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ব্যাংকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক গুলোতে পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সাথে সেনাবাহিনীর টহল দল নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সার্বক্ষণিক রয়েছে। লংগদুতে যেন এধরনের কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেবিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি।