Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন- বিজিবি’র রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার

print news

 

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

নানিয়ারচরে অবস্থিত শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন বিজিবি’র রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, পিবিজিএম, পিএসসি।

 

আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ২০২৪ খ্রিঃ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধে সর্বোচ্চ আত্নাহুতিদারী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

FB IMG 1734400964105শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন বর্ণিত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি চৌকষ ও সুসজ্জিত গার্ড দলের সদস্যগণ গার্ড অব অনার প্রদান করেন, এবং বিউগলের অন্তিম সুরে উপস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির এই সূর্য সন্তানকে। এই উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার বলেন, আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার চেংড়ী খালে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থাকাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দলের ০২টি লঞ্চ ও ০১টি স্পীডবোটকে মেশিন গান দিয়ে গুলি করে নদীতে ডুবিয়ে দেন। তাঁর এহেন বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার ফলে পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দল পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীর মর্টারের গুলি আঘাতে এই স্থানে মহান অকুতোভয় বীর শাহাদাত বরণ করেন। আর এই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমেই অর্জিত হয় আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশ সরকার তার বীরোচিত আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ উপাধি’বীরশ্রেষ্ঠ‘ খেতাবে ভূষিত করেন। এ-সময় উক্ত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া, বিজিবির বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ সহ নানান পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন- বিজিবি’র রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার

প্রকাশিত: ০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
print news

 

 

এম এস শ্রাবণ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ

 

নানিয়ারচরে অবস্থিত শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছেন বিজিবি’র রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, পিবিজিএম, পিএসসি।

 

আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ২০২৪ খ্রিঃ মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে মহান স্বাধীনতা যু্দ্ধে সর্বোচ্চ আত্নাহুতিদারী শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ এর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

FB IMG 1734400964105শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন বর্ণিত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি চৌকষ ও সুসজ্জিত গার্ড দলের সদস্যগণ গার্ড অব অনার প্রদান করেন, এবং বিউগলের অন্তিম সুরে উপস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির এই সূর্য সন্তানকে। এই উপলক্ষ্যে রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার বলেন, আজ ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এই দিনটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট এলাকার চেংড়ী খালে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থাকাকালীন পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দলের ০২টি লঞ্চ ও ০১টি স্পীডবোটকে মেশিন গান দিয়ে গুলি করে নদীতে ডুবিয়ে দেন। তাঁর এহেন বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার ফলে পাক হানাদার বাহিনীর সৈন্য দল পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে পাক হানাদার বাহিনীর মর্টারের গুলি আঘাতে এই স্থানে মহান অকুতোভয় বীর শাহাদাত বরণ করেন। আর এই মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমেই অর্জিত হয় আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশ সরকার তার বীরোচিত আত্মত্যাগের জন্য সর্বোচ্চ উপাধি’বীরশ্রেষ্ঠ‘ খেতাবে ভূষিত করেন। এ-সময় উক্ত অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া, বিজিবির বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ সহ নানান পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।