Dhaka , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে  ——— চুক্তি বর্ষপূর্তিতে বক্তারা

print news

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ

 

পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও জুুন্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল যড়যন্ত্র প্রতিহত করুন। এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করার লক্ষে বিলাইছড়িতে ২৭তম পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বর্ষপূর্তি উপলক্ষে র‍্যালি ও গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২ রা ডিসেম্বর) সকাল ১০:০০ টায় উপজেলা শিল্প কলা প্রাঙ্গণে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমা।

Untitled 5

এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রামাচরণ মার্মা (রাসেল), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অমৃতসেন তঞ্চঙ্গ্যা (পুরুষ), উৎপলা চাকমা (নারী), নির্মল তঞ্চঙ্গ্যা, এবং পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি  নিকেল চাকমা।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেডম্যান রমাকান্ত আমু, তরুণ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বিমলী চাকমা, মহিলা মেম্বার কবিতা চাকমা, রত্নশোভা দেওয়ান। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম  চুক্তি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব টিপু চাকমা।

462584762 430014806871407 49417283956793294 n

বক্তারা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে ২৭ বছর অনেক সময় হয়ে  গেছে, কোনো সরকার চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। এই চুক্তি পার্বত্য আদিবাসীদের একটি সনদ। যতই বাধা আসুক। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এ-ই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। বক্তারা আরও বলেন,  আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তি করতে যেমনি বাধ্য করা হয়েছে। তেমনি আন্দোলনের মধ্য দিয়েও চুক্তি  বাস্তবায়ন করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশে পল্টন ঘাট হতে একটি র‍্যালি বের করে শিল্পকলায় শেষ করে।পরে সভায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রায় সকল আদিবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং সুশীল সমাজের মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Chtbarta

জনপ্রিয়

মানিকছড়ি সদর ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ

শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে  ——— চুক্তি বর্ষপূর্তিতে বক্তারা

প্রকাশিত: ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪
print news

 

 

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ

 

পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও জুুন্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল যড়যন্ত্র প্রতিহত করুন। এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলন জোরদার করার লক্ষে বিলাইছড়িতে ২৭তম পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বর্ষপূর্তি উপলক্ষে র‍্যালি ও গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (২ রা ডিসেম্বর) সকাল ১০:০০ টায় উপজেলা শিল্প কলা প্রাঙ্গণে সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বর্ষপূর্তি উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমা।

Untitled 5

এছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুপ্রিয় তঞ্চঙ্গ্যা, ১নং বিলাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, ২নং কেংড়াছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রামাচরণ মার্মা (রাসেল), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অমৃতসেন তঞ্চঙ্গ্যা (পুরুষ), উৎপলা চাকমা (নারী), নির্মল তঞ্চঙ্গ্যা, এবং পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ বিলাইছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি  নিকেল চাকমা।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেডম্যান রমাকান্ত আমু, তরুণ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা, বিমলী চাকমা, মহিলা মেম্বার কবিতা চাকমা, রত্নশোভা দেওয়ান। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম  চুক্তি উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব টিপু চাকমা।

462584762 430014806871407 49417283956793294 n

বক্তারা বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে ২৭ বছর অনেক সময় হয়ে  গেছে, কোনো সরকার চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে আন্তরিক নয়। এই চুক্তি পার্বত্য আদিবাসীদের একটি সনদ। যতই বাধা আসুক। শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এ-ই চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে। বক্তারা আরও বলেন,  আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে চুক্তি করতে যেমনি বাধ্য করা হয়েছে। তেমনি আন্দোলনের মধ্য দিয়েও চুক্তি  বাস্তবায়ন করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। সমাবেশে পল্টন ঘাট হতে একটি র‍্যালি বের করে শিল্পকলায় শেষ করে।পরে সভায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে প্রায় সকল আদিবাসী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এবং সুশীল সমাজের মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন।