রুপম চাকমা, বাঘাইছড়িঃ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ৩৬নং সাজেক ইউনিয়নের শিশুতুলি গ্রামের ইউপিডিএফ সংগঠক আর্জেন্ট চাকমার নেতৃত্বে ১০ সদস্য একটি টিম নির্মল চাকমার দাহক্রিয়া অনুষ্টানে সহযোগীতা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২টার সময়ে নিজ বাড়িতে ভিক্ষু সংঘ উপস্থিতিতে ধর্মীয় আনুষ্টানিকতা শুরু হয়। অনুষ্টানে পঞ্চশীল প্রার্থনা পাঠ করেন নিকেটন চাকমা। ধর্মীয় অনুষ্টানে নির্মল চাকমাসহ সকল প্রাণীর হিতসুখ মঙ্গল কামনা করে বৌদ্ধ মুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিস্কার দানসহ নানাবিধ দানের আয়োজন করা হয়।
ধর্মীয় সভায় স্বধর্ম দেশনা প্রধান করেন বাঘাইহাট বনানি বন বিহারের বিহার অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় কৃপারন্ত্র স্থবির ভান্তে। ধর্মীয় আনুষ্টানিকতা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিভ ফ্রন্ট ইউপিডিএফ বাঘাইছড়ি ইউনিটের সংগঠক আজেন্ট চাকমা। তিনি বলেন, মানুষ মরন শীল, সময় হলে একদিন সবাইকে মরতে হবে। বৌদ্ধ ধর্ম হচ্ছে এক মানব সেবা ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম যে সঠিক সময়ে লালন পালন করবে তাদের পারিবারিক সুখ-শান্তি ও মঙ্গল হয় বলে জানান আর্জেন্ট চাকমা।
আর্জেন্ট চাকমা আরো বলেন, ইউপিডিএফ গঠন লগ্ন থেকে জুম্ম জনগনের সুখে-দুখে- আপদে বিপদে সব সময় আছে আগামীতেও থাকবে। তিনি সকল দায়ক-দায়িকাদের পঞ্চশীল পালনের আহবান জানান।
ধর্মীয় অনুষ্টান শেষে নির্মল চাকমার মরদেহ কফিন বহন করে ইউপিডিএফের সদস্যরা শ্মাশানে নিয়ে যান। সেখানে ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে তার দাহক্রিয়া অনুষ্টান সম্পুন্ন হয়। শিশুতলি গ্রামের শান্তি চাকমা বলেন আজকে যদি ইউপিডিএফ আমাদেরকে সহযোগীতার জন্য এগিয়ে না আসতো আমাদের বিপদে পরতে হতো। ইউপিডিএফের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসিরা। নির্মল চাকমা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভূগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।