সাজেকে সুর্যমুখী চাষে ব্যাপক সারা জুগিয়েছেন সাবেক মহিলা মেম্বার কৃপারানি চাকমা
রুপম চাকমা, বাঘাইছড়িঃ
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট হাজাছড়া গ্রামের সাবেক মহিলা মেম্বার কৃপারানি চাকমা সুর্যমুখী চাষ করে এলাকায় অর্থ উপার্জনের ব্যাপক সারা জুগিয়েছেন।
যে পাহাড়ে একসময় কেবল জুমের ফসল ছিল স্থানীয়দের ভরসা, সেখানে এখন আলো ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী। আর সূর্যমুখীর হাসিতে নতুন স্বপ্ন দেখছেন সাজেক পাহাড়ের বাসিন্দারা।
পাহাড়ের ঢালে ধান চাষ যেমন কষ্টকর, তেমনি তাতে লাভও কম। ফলে সারা বছর পরিশ্রম করেও অভাব ঘোচেনা পাহাড়ের বাসিন্দাদের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখীর খেত। সূর্যের আলোর ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে চারপাশ। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যেন হলুদ, সবুজের আনন্দ ছুঁইয়ে পড়ছে কৃপারানি চাকমার সুর্যমুখীর জমিতে।
সাজেক ইউনিয়নের ৪নং ওযার্ডের মেম্বার দয়াধন চাকমা জানান, কৃপা রানী চাকমার সুর্যমুখী চাষ দেখে স্থানীয়রা আগামিতে এই চাষে সফলতার মুখও দেখছেন অনেকে। আগামী দিনে এই চাষ আরও বাড়বে বলে মন্তব্য করেন।
সিএইচটি বার্তা নিউজ স্বাক্ষাতকারে কৃপা রানী চাকমা জানান, আগে তার জমিতে ধানের চাষ হতো। এই প্রথম অনেকটা শখের বশে তেলের জন্য তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। বাম্পার ফলনের আশাও করছেন সাবেক এই মহিলা মেম্বার।
সাজেক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা বলেন, এবার প্রথম তার ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। তিনি আশা করছেন, ধানের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে চাষিরা বেশি লাভবান হবেন। তিনি আরো বলেন, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ব সূর্যমুখী ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙানো যায়। এই তেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার সম্ভাবনা দেখায় স্থানীয় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাষিদের বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সব ধরনের সহায়তা প্রত্যাশা দাবি জানান নেলসন চাকমা।
সম্পাদক ও প্রকাশক : নিউটন চাকমা
সিএইচটি বার্তা