ঢাকা অফিসঃ
নিজেকে প্রাইভেট সেক্টরের বেসরকারি চাকরিজীবি পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরিতে এক অনবদ্য নজিরবিহীন জালিয়াতির মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে। এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ৪ জন পরিচালক, ১ জন উপপরিচালক সহ ২ জন উপসহকারী পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই সব কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের অনুসন্ধান পায় দুদক।
দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেনজীর আহমেদের ৭টি পাসপোর্টের মধ্যে ৫টি পাসপোর্টের নম্বর দেয়া হলো-AA1073252, BC0111070, BM0828141, E0017616 ও 800002095। এছাড়া বাকী ২টি পাসপোর্ট রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেলা ১১টায় দুদকের উপপরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেনের তত্ত্বাধানে একটি দল প্রধান কার্যালয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদফতরের ৮ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।
এদিকে, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের এই সাবেক আইজিপি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পরিচয়ে সাধারণ পাসপোর্ট তৈরি করেন। এমনকি পাসপোর্ট তৈরিতে নজিরবিহীন জালিয়াতির মিথ্যার আশ্রয় নেন। তবে নবায়নের সময় ধরা পড়লে বেনজীরের সেই পাসপোর্ট আটকে দেয় পাসপোর্ট অধিদপ্তর। পরে র্যাবের সদর দপ্তরে চিঠি দেয় সংস্থাটি।
পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে দুদক দুই দফায় তলবে চিঠি পাঠালেও হাজির হয়নি কেউ। বরং হাজির না হয়ে আইনজীবির মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন তারা।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-কন্যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ মে নোটিশ দেয় দুদক। বেনজীর আহমেদ বিগত ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। তবে এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত ছিলেন। সাড়ে ৪ বছর র্যাবের নেতৃত্ব থাকার পর বিগত ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
মন্তব্য করুন