নিজস্ব প্রতিবেদক:
বান্দরবানে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আপুইমং (৬৫) নামে এক সৎ পিতা ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আপুইমং রোয়াংছড়ি সদর উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের থোয়াইংগ্য পাড়ার মৃত- সাপ্রুঅং মারমার ছেলে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক ( সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) জেবুন্নাহার আয়েশা নারী ও শিশু মামলা নং ১৯/২২ ধারাতে এ রায় ঘোষণা করেন।
গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা আপুইমংকে রায় শোনাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এড,বাসিংথুয়াই মার্মা জানান, ঘটনার সময় মেয়েটি ১৫ বছরের কিশোরী ছিলেন।
তিনি সম্পর্কে ধর্ষক আপুইমং এর সৎ মেয়ে। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে আপুইমং এর বিয়ে হয়।
আসামী আপুইমং (৬৫) আনুমানিক ১২ বছর পূ্র্বে বাদী মেসাচিং ( ৫৪) কে বিবাহ করেন। বিবাহের সময়ে ভিক্টিম ৩ বছরের শিশু তাঁর মাযের সাথে আসামির বাড়ীতে চলে আসে।
ভিক্টিম এক প্রকার আসামির বাড়ীতে লালিত পালিত হই এবং ভিক্টিম আসামীকেই নিজের বাবা হিসেবে চিনে।
মামলার এজহারের তথ্য মতে জানা যায়, আসামী আপুইমং মারমা আনুমানিক গত ১৫ নভেম্বর ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত সময়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিম (১৫) কে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভিক্টিম গর্ভবতী হয়ে তাহার আপন ভাই হ্লামংসিং বাড়ীতে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে।
পরবর্তীতে এ ঘটনা জানাজানি হলে ভিক্টিমের মা আসামীর স্ত্রী মেসাচিং মার্মা আপুইমং এর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মোট ১০ জন স্বাক্ষী স্বাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করেন। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পি পি জনাব এডভোকেট বাসিংথুয়াই মার্মা। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট উম্যাসিং মার্মা।