বিশেষ প্রতিবেদক:
রাঙ্গামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলা বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে মারমাদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা বা ওয়াগ্যাই পোওয়ে উদযাপিত হয়েছে। ১৭ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ৮ টায় হতে সারিবদ্ধ করে বিহারে গিয়ে দায়ক-দায়িকারা হাতে টিফিন ছোয়াইং নিয়ে প্রথমে গৌতম বুদ্ধের নিকট দানের পর বিহারাধ্যক্ষের এসব ছোয়াইং দান করা হয়। মারমাদের এবারে ছোট পরিসরে প্রবারণা পূর্ণিমা ২ দিনব্যাপী চলবে।
শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে প্রধান দায়ক ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা সভাপতিত্বে বিহার প্রধান ঞানাওয়াইনসা ভান্তে সহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ছোট বড় দায়ক-দায়িকা বিহার পরিচালনা কমিটি সেক্রেটারি সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন।
বিহারাধ্যক্ষ গণমাধ্যমকে জানান, আজ মারমা ওয়াগ্যাই পোওয়ে শেষ দিন শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ : বিকাল ৪ ঘটিকায় দেশ ও সমাজ সকল জাতির শান্তিময় কল্যাণের বয়ে আনুক উদ্দেশ্য জাতক, বুদ্ধ ত্রিপিটক পাঠ দেশনায় মধ্যে দিয়ে এবারে আষাঢ়ী পূর্ণিমা শেষ হবে। এরপর ছোট বড় নতুন থামী কাপড় পরিধান পড়ে সকলে মিলে বুদ্ধের কাছে ফুল পূজা, আহার পূজা, কল্পতরু দান ও প্রদীপ পুজা করতে দেখা যায়। আজ সারাদেশে পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ের বসবাসরত মারমা সম্প্রদায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বৌদ্ধ ধর্মানুযায়ী আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে। পার্বত্য চট্রগ্রামের মারমারা পূর্বে পুরুষ আমল হতে ওয়াছোহ: বা তিথি হতে তিন মাস বর্ষাবাস সময় গৌতম বুদ্ধের আর্দশের রীতিনীতি বাণী অনুযায়ী দায়ক-দায়িকা সহ শ্রামণ ভিক্ষুরা মাছ মাংস ডিম জীবজন্তু হত্যা ও আহার হতে বিরত থাকে। তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা তিথি অক্টোবর মাস শেষ হয়ে থাকে। মারমা সম্প্রদায় বুদ্ধের ধর্মের অনুসারী যুগ যুগান্তরে দ্বিতীয় বড় উৎসব ওয়াগ্যাই পোওয়ে পালন করে থাকে বলে জানা যায়। বিহারে বড় ভান্তে সকল দায়ক-দায়িকা উদ্দেশ্য পঞ্চশীল, অষ্টশীল গৌতম বুদ্ধের নিকট শীল প্রার্থণা গ্রহণ করেন। আরো ধর্মের দেশনায় মধ্যে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সকল সম্প্রদায় নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশে বসবাস করতে পারি ভগবানের কাছে প্রার্থণা করা হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্ম শান্তি প্রিয় ধর্ম হিসাবে পরিচিত। বিকাল ৩ ঘটিকায় বিহারে গিয়ে দায়ক দায়িকা ছোট বড় মিলে সারিবদ্ধভাবে ধর্মের ঘন্টা বাজিয়ে সাদা পানি, লাল চন্দন পানি ও সাদা চন্দন দিয়ে বুদ্ধের মূর্তিকে স্নান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্বত্য চট্রগ্রাম ভিক্ষু সংঘ পরিষদ গতবারে প্রেস ব্রিফিং এর বলেন আপাতত তিন পার্বত্য জেলা কঠিন চীবন দান আইন শৃঙ্খলা বিবেচনায় চিন্তা ভাবনা করে সাময়িক ভাবে বর্জন, আপাতত এবছর কঠিন চীবর দান বন্ধ ঘোষণা প্রজ্ঞাপন পত্র জারী করা হয় বলে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ কমিটি সুত্রে জানা যায়।